জন্মভূমি ডেস্ক : হাসপাতালে ভর্তি, পরেরদিন হাসপাতাল থেকে ফিরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস, রাতে লাইভ-এসব নিয়ে তুমুল আলোচনায় ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। একই সঙ্গে অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টিও আলোচনার কেন্দ্রে আসে। পরেরদিন সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে নতুন করে সমালোচনার সৃষ্টি করেন অভিনেত্রী। যদিও ক্ষমা চেয়েছিলেন ফেসবুক পোস্টে। পরে সেই পোস্ট মুছেও ফেলেন।
মুল আলোচনা থেমেও গিয়েছিল। কিন্তু একদিন বিরতি দিয়ে রবিবার মধ্যরাতে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে আসেন তিশা। পরেরদিন ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ। এরপর ক্ষিপ্ত হন সাংবাদিকেরা। মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকেরা। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। এবার মুখ খুললেন জায়েদ খান।
এই অভিনেতা বলেন, সব সময় বিনোদন শ্রমিক অর্থাৎ নায়ক-নায়িকাদের বিপদে পাশে ছিলেন বিনোদন সাংবাদিকরাই। মেয়েটি (তানজিন তিশা) ই্মম্যাচিউরড আরকি। এ জন্যই হয়তো সাংবাদিকদের সঙ্গে ঝামেলা করতে গেছে।
সাংবাদিকরা যদি কোনো তারকার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন, তখন দাঁড়ানো খুব টাফ। খুবই কঠিন। এক কথায় সাংবাদিকদের সঙ্গে ঝামেলা করে শিল্পীদের টিকে থাকা খুব টাফ।
আমার সঙ্গে অনেক সাংবাদিকের ঝামেলা হয়েছিল। কিন্তু আমি এত বড় করিনি। সিনিয়র সাংবাদিকদের মাধ্যমে মিটমাট করেছি। আইন, পুলিশ ব্যবহার করা শিল্পীদের উচিত না। এতে শিল্পীদের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যায়। একবার সাংবাদিকরা খেপে গেলে ওই তারকার ওঠে দাঁড়ানো টাফ।
তিনি আরও বলেন, মেয়েটিকে (তানজিন তিশা) দেখেছি, তেমন আমি চিনি না। আমি মনে করি বাচ্চা মেয়ে, ইমম্যাচিউরড। তাকে কারা বুদ্ধি দেয় আমি জানি না। এরা আসলে বোকা।
এ বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, আমি সত্যিই তানজিন তিশাকে চিনি না। নাম শুনেছি। আমি যদি না চিনি আমাকে জোর করে চেনানো তো যাবে না। তবে আমি তার নাম আমি শুনেছি। সাংবাদিকদের সঙ্গে তার এমন আচরণ করা ঠিক হয়নি।
এর আগে সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিশা। সেই সময় এক সাংবাদিকের প্রতি অভিযোগের তীর ছুড়েছিলেন তিনি।
ডিবি কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর ‘সাংবাদিকদের উড়িয়ে দেওয়ার’ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তানজিন তিশাকে। এর উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, একজন স্পেসিফিক সাংবাদিককে আমি ওই কথা বলেছি— সবাইকে বলিনি।