জন্মভূমি ডেস্ক : আলমডাঙ্গা উপজেলার বকসিপুর গ্রামে কুমার নদের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতু। দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় কোনো কাজেই আসছে না জনবিরল এলাকায় নির্মিত সেতুটি। এতে সরকারের ৫৭ লাখ টাকা গচ্চা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার কালীদাসপুর ও ডাউকি ইউনিয়নের সংযোগস্থলের বকসিপুর গ্রামে কুমার নদের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর একদিকে মাত্র সাত-আটটি পরিবারের বসবাস। অন্যদিকে বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠ। সেতু নির্মাণের সাত বছর পার হলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। এতে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাতায়াত কিংবা কৃষকের মাঠের ফসল আনার কাজেও আসছে না সেতুটি।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেতুর কালীদাসপুর প্রান্তে ৩৫০ থেকে ৪০০ মিটার দূরে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়ক। অন্যদিকে ডাউকি প্রান্তে ২৫০-৩০০ মিটার দূরে আলমডাঙ্গা-পাটিকাবাড়ী বাজার সড়ক। সেতুর দুই পাশে ৬০০-৭০০ মিটার সংযোগ সংড়ক নির্মাণ করা প্রয়োজন। আগে থেকে সেতুর দুই পাশে চলাচলের রাস্তা না থাকায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে হলে বিপুল পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।
স্থানীয় কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, সেতু নির্মাণের আগে এলাকার কৃষকরা ধান, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল মাথায় চেপে বাঁশের সাঁকোতে নদী পার হয়েছেন। এখন সেতু নির্মাণ সত্ত্বেও কৃষকের আগের মতো ফসল মাথায় চাপিয়ে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরতে হয়। সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতু কারও কাজে আসছে না। অযথা সরকারের লাখ লাখ টাকা অপচয় হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাইদ বলেন, অপরিকল্পিতভাবে ও কম জনবসতিপূর্ণ স্থানে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এভাবে সরকারের বিপুল অর্থ বিনষ্ট করেছেন উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস জানান, তিনি যোগদানের অনেক আগেই সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় এ সম্পর্কে তাঁর জানা নেই। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে ওই সেতুতে সংযোগ সড়ক নির্মাণে বিষয়ে তিনি উদ্যোগ নেবেন।