
আশাশুনি প্রতিনিধি
উপকূলীয় আশাশুনি উপজেলার মানুষ প্রতি বছর বন্যা, সাইক্লোন, জলচ্ছ্বাসে বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে খাদ্য পানীয় বাসস্থান ও স্বাভাবিক জীবন যাপন থেকে বঞ্চিত ও চরম বিপদাপন্নতার শিকার হয়ে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিনিয়ত এখানকার পরিবেশ পরিবর্তিত হচ্ছে এবং মানুষের জীবন মানের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। সরকার টেকসই বেড়ী বাঁধ নির্মানসহ মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ও কর্মসৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা উপকূলীয় জনগোষ্ঠির, বিশেষত নারীদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবণাক্ততা মোকাবেলায় অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প ‘জিসিএ’ এর মাধ্যমে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ৫টি উপজেলায় ৩৯টি ইউনিয়নের ১০১টি ওয়ার্ডে কাজ শুরু করেছি। প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু অভিযোজিত জীবিকার মাধ্যমে অবিযোজিত ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। বসতবাড়ি সবজী চাষ, কাঁকড়া চাষ, কাঁকড়া নার্সারী, আ্যাকোয়া-জিওপনিকস, হাইড্রোনিকস, উদ্ভিদ নার্সারী, তিল চাষ এবং কাঁকড়া ও মাছের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। যাতে নারীদের পেশাদারিত্ব, জীবিকায়ন, লবণাক্ততা সহিষ্ণু নার্সারী, চারা উৎপাদন, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। প্রকল্পের আওতায় ১০১৭টি দলের ৪৩ হাজার নারীকে জীবিকা সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও উপকরণ প্রদান কর হবে। আশাশুনির ১০ ইউনিয়নের ৩০টি ওয়ার্ডে কার্যক্রম করা হচ্ছে।
বুধবার সকালে আশাশুনি এতিম ও প্রতিবন্ধীদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনে ২দিনের জীবিকা প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে জিসিএ ন্যাশনাল প্রজেক্টের পরিচালক এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো: ইকবাল হুসাইনে উপরোক্ত কথা বলেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ইউএনডিপি রিজওনাল ম্যানেজার অশোক কুমার অধিকারী। গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে, ইউএনডিপি’র কারিগরি সহায়তায়, বাস্তবায়ন সহযোগি ব্র্যাক এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, ইউএনডিপি’র এমডিও রাশেদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা উপ পরিচালক নূরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সাতক্ষীরার প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাজিবুল হাসান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমান।