
ক্রীড়া প্রতিবেদক : বিশ্বকাপে ইতমধ্যে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি দুইটা জায়গার জন্য অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানসহ লড়ছে ছয়টি দল। তৃতীয় দল হিসেবে সেমির টিকিট পাওয়ার দৌড়ে খাতায়কলমে অনেকটা এগিয়ে আছে অজিরা। আর অনেকটা পিছিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা এবং নেদারল্যান্ডস। চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে ওঠার জন্য মূলত তিনটি দলের লড়াই হবে- নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান খাতায়কলমে বিচার করলে। এমন সমীকরনে আগামী ১১ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে ম্যান ইন গ্রিনরা। তবে সে ম্যাচের আগে চিন্তার ভাঁজ দলটিতে, ইনজুরিরতে দলের তারকা পেসার হারিস রউফ। এমনটায় জানায় পাকিস্তানেরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
পাকিস্তান গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, হারিস রউফ তার পাঁজরে ব্যথা অনুভব করেছেন এবং তার অস্বস্তির সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা চলছে, দলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন বিষটি। চোটের জন্য নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ১০ ওভারে ৮৫ রান দেওয়ার পরেই তিনি মাঠ ছেড়েছিলেন।
এদিকে কিউইদের বিপক্ষে কঠিন ম্যাচের দিনে লজ্জার রেকর্ডে নাম ওঠে পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফের। বিশ্বকাপে ২৪ বছরের মধ্যে কোনো বোলার এক আসরে এত ছক্কা হজম করেননি। চলতি আসরে আজকের ম্যাচ পর্যন্ত যতগুলো ছক্কা হজম করেছে পাকিস্তানের এই পেসার।
শনিবার (৪ নভেম্বর) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ ওভার বল করে ১ উইকেট পেতে ৮৫ রান খরচ করেন হারিস রউফ। তার ওভারে দুটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন কিউই ব্যাটাররা। এতেই হারিস রউফ গড়ে ফেলেছেন লজ্জার রেকর্ড। এক বিশ্বকাপে পাকিস্তানি এই পেসার (আজকের ম্যাচসহ) ছক্কা হজম করেছেন ১৬টি। ১৯৯৯ সালের পর বিশ্বকাপের এক আসরে কোনো বোলার এতগুলো ছক্কা খাননি।
এতদিন এই রেকর্ডটা ছিল জিম্বাবুয়ের পেসার তিনাশে পানিয়াঙ্গারার। ২০১৫ বিশ্বকাপে ১৫টি ছক্কা হজম করেছিলেন তিনাশে। আর ২০১৯ বিশ্বকাপে ১৪ ছক্কা খেয়ে এই তালিকায় তিন নম্বরে ভারতীয় স্পিনার ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল। একই বিশ্বকাপে তার সমান ছক্কা হজম করেছিলেন আফগানিস্তানের লেগস্পিনার রশিদ খান। ২০১৫ বিশ্বকাপে জেসন হোল্ডার ১৩ ছক্কা হজম করেছিলেন। এটি তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে।