
ক্রীড়া প্রতিবেদক : এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজিত পুরুষদের ইমার্জিং এশিয়া কাপে আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।শ্রীলঙ্কায় উদ্বোধনী দিনে স্বাগতিক লঙ্কান ‘এ’ দলের বিপক্ষে হারের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সাইফ হাসানের দল। কলম্বোতে ওমানের দেওয়া ১২৭ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দাপটের সঙ্গে ২০১ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। ১৭তম ওভারে এর আগে কখনোও বাংলাদেশ ‘এ’ দল জয়ের দেখা পায় নি, ওমানের বিপক্ষে এই জয় জুনিয়র টাইগারদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড।
১২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও তানজিদ হাসান মিলে শুরুটা দারুণ করেন। ওমানের বোলারদের কোনো প্রকার সুযোগ না দিয়ে দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকে এই জুটি। নেট রানরেটের হিসেব বিবেচনা করেই হয়তো একপ্রান্তে তামিম আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান।
আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে তামিম ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হলেও এদিন উইকেট ছুঁড়ে দেননি এই ব্যাটার। অপরপ্রান্তে নাঈম গেল ম্যাচের মত দেখে শুনে ইনিংস লম্বা করতে থাকেন। প্রথম পাওয়ার প্লেতে এই জুটি মিলে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করেন ৮৬।
দলকে ১০০র ঘরে পৌঁছে দিয়ে অবশ্য উইকেট ছুঁড়ে দেন তামিম। ১৫তম ওভারে ১০৯ রানে এই ব্যাটার আউট হন ৪৯ বলে ৬৮ রানে। এরপর ক্রিজে নেমে মেরে খেলতে গিয়ে আকিবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ২য় বলেই উইকেট ছুঁড়ে দেন সাইফ।
শূন্য রানে অধিনায়ক বিদায় নিলেও ক্রিজে নেমে জাকির হাসান সঙ্গ দেন নাঈমকে। দেখে শুনে খেলে নাঈমও হাঁটতে থাকেন হাফ সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু জাকিরের ৬ বলে ১১ রানের অপরাজিত ইনিংসে নাঈমকে অপরাজিত থাকতে হয় ৪৭ রানে।
এদিকে আগে ব্যাটিং করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ৯ রান তুলতেই দুই ব্যাটারকে হারিয়ে বসে ওমান। ২১ বলে ২ রানে ফেরেন আব্দুল রউফ। তার উইকেটটি নেন রিপন মন্ডল। তানজিম সাকিবের শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন আকিব ইলিয়াস।
দুই ব্যাটার ফিরলেও অয়ন খান ও কাশ্যপকুমার প্রজাপতি মিলে যোগ করেন ৪৫ রান। তবে রাকিবুল হাসান ও শেখ মাহেদির ঘুর্নিতে ফেরেন দুজনই। এরপর শুভ পল ও শোয়েব খান মিলে আরও ৪৫ রানের জুটি গড়লেও দলীয় রান ১০০ হওয়ার আগে মাহমুদুল হাসান ফিরিয়ে দেন শোয়েবকে।
এই ধাক্কা সামাল দিতে দিতে ১১৫তে আরও দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ওমান। এরপর ১২২ রানে আরও দুই উইকেট হারায় দলটি। শেষ পর্যন্ত ১২৬ রানে অল আউট হয় ওমান। শেষের ৩টি উইকেটই নেন সাকিব। ৯ ওভারে ২ মেইডেন দিয়ে ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন এই পেসার।

