জন্মভূমি ডেস্ক
মিয়ানমারে এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রাণহানির পরদিন সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী আরও বিক্ষোভের পরিকল্পনা নিয়েছেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থীরা। মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের কয়েকটি এলাকায় অংশবিশেষে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। টিআরটি ওয়াল্ড।
মিয়ানমারে গত রোববার জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে ৩৯ জন নিহত হন। এ নিয়ে দেশটিতে সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভে মোট ১২৬ জন নিহত হলেন। পর্যবেক্ষণ সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস এ তথ্য জানিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়, গতকালের বিক্ষোভ-সহিংসতার জেরে ইয়াঙ্গুনের হ্লাইংথায়া ও সুয়েপিয়েথা এলাকায় মার্শাল ল জারি করা হয়েছে।
গত রোববার হ্লাইংথায়া এলাকায় চীনের অর্থায়নে পরিচালিত কয়েকটি কারখানায় হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। মিয়ানমারের চীনা দূতাবাস বলেছে, এ হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দেশটির অনেক কর্মী আহত হয়েছেন। অনেকে আটকা পড়েছেন। চীনা সম্পদ ও নাগরিকদের রক্ষার জন্য মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানিয়েছে চীন।
মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তার সমর্থক হিসেবে চীনকে দেখা হয়। রোববার মিয়ানমারে কারখানায় হামলার পর পরিস্থিতিকে ‘খুবই গুরুতর’ হিসেবে বর্ণনা করে চীন।
রোববারের ঘটনার পর মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা নিয়ে চীনের কাছ থেকে সবচেয়ে কঠোর মন্তব্য এসেছে। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সহিংস কর্মকাÐ বন্ধ করতে বলেছে চীন। তারা আইন অনুযায়ী অপরাধীদের শাস্তি দিতে বলেছে। একই সঙ্গে চীনা সম্পদ ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছে। চীনা কারখানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি।