জন্মভূমি ডেস্ক : ইসরায়েলের বোমা হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ৪৭টি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ধ্বংস হয়ে গেছে ৭টি গির্জাও। গত ৭ অক্টোবর থেকে চালানো অবিরাম হামলায় এসব মসজিদ ও গির্জা ধ্বংস হয়।
মূলত টানা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। মসজিদ, গির্জা ছাড়াও ইসরায়েলের নির্বিচার এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না স্কুল, হাসপাতালের মতো বেসামরিক অবকাঠামোগুলোও।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের চলমান বিমান হামলায় অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির ৪৭টি মসজিদ এবং সাতটি গির্জা ধ্বংস হয়ে গেছে বলে গাজার সরকার জানিয়েছে। গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গত তিন সপ্তাহ ধরে চলা এসব হামলায় ২০৩টি স্কুল এবং ৮০টি সরকারি অফিসও ধ্বংস করা হয়েছে।
গাজার মিডিয়া অফিসের পরিচালক সালামা মারুফকে উদ্ধৃত করে আল জাজিরা আরবি বলেছে, ব্যাপক বোমা হামলার কারণে গাজার ২ লাখ ২০ হাজার আবাসন ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৩২ হাজার ভবন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
এর আগে গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছিল, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সেখানকার একটি অর্থোডক্স সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং একটি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দিয়েছে। যদিও ইসরায়েলি হামলার কারণে দেড় হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ এখানে আশ্রয় নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৫ জনে। নিহতদের মধ্যে ৩ হাজার ৩৪২ শিশু, ২ হাজার ৬২ জন নারী এবং ৪৬০ জন বয়স্ক মানুষ।
এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ হাজার ফিলিস্তিনি। একইসঙ্গে গত ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় সর্বাত্মক অবরোধও আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল।
অবশ্য সাম্প্রতিক দিনগুলোতে জরুরি মানবিক সহায়তা বহনকারী কিছু ট্রাক ভূখণ্ডটিতে প্রবেশ করেছে।