জন্মভূমি ডেস্ক
ঈদের ছুটিতে গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় কমেছে লোডশেডিং। তবে আগামী সপ্তাহে সব অফিস-আদালত পুরোদমে চালু হবার পর পরিস্থিতি কী হতে পারে তার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংশ্লিষ্ট কোনও সংস্থাই।
পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, চাহিদা কমে যাওয়ায় কিছু গ্যাস ক্ষেত্রের উৎপাদন তারা কমিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) মোট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে ২৪৪০ মিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে এলএনজি ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। বাকিটা দেশীয় ক্ষেত্রগুলো থেকেই উৎপাদিত হচ্ছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেন, আমরা দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তির আওতায় ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করি, আর বাকি ২০০ কখনও কখনও তা ২৫০ মিলিয়নও হয়, সেটা আমরা স্পট মার্কেট থেকে আমদানি করতাম। এখন বিশ্ব বাজারের এলএনজির দাম অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ রেখেছি। এর ফলে কিছুটা গ্যাস ঘাটতি হলেও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের পুরো দায় গ্যাস ঘাটতি নয়, তেলের কারণেও পিডিবি পূর্ণ ক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না। তিনি বলেন, ঈদের সময় শিল্প কল কারখানা বন্ধ থাকায় এখন চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমরা দিতে পারছি। তবে আগামী সপ্তাহে সব খুলে যাবার পরের পরিস্থিতি কি হবে তা আগাম বলা কঠিন। তিনি বলেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশ এখন নিজ থেকেই জ্বালানি সাশ্রয় করছে। আমাদেরও তাই করতে হবে।
এদিকে পিডিবি জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা তাদের ১২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। এর প্রায় পুরোটাই এখন পর্যন্ত সরবরাহ করার পরিস্থিতি তাদের আছে।
আরইবির এক কর্মকর্তা জানান, গত সোমবার রাত ৯টায় শহর এলাকায় নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলের কিছু জায়গায় লোডশেডিং হয়েছে- তবে তা সরবরাহ সমস্যার কারণে নয়, অন্য সমস্যা ছিল। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এখন পর্যন্ত আরইবির অধীন এলাকায় লোডশেডিং নেই।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ঈদের কারণে শিল্প কারখানা বন্ধ, এদিকে অনেকেই এই ঈদে গ্রামের বাড়িতে যান। ফলে চাহিদা বেশ কম থাকে। সবমিলিয়ে কোথাও আমাদের লোডশেডিং করতে হচ্ছে না।