সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : তীব্র দাবদাহ যখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তখন নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সম্ভাব্য শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ঘিরে জনমনে নতুন করে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ২৪ থেকে ২৮ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘শক্তি’। শ্রীলঙ্কা এই নাম প্রস্তাব করেছে।পলাশ জানিয়েছেন, ‘২৪ থেকে ২৬ মের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা উপকূল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে পারে। তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।’
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম বা বিডব্লিউওটি জানিয়েছে, ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে সাগরে একটি সার্কুলেশন তৈরি হতে পারে, যা ধাপে ধাপে লঘুচাপ, নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ‘শক্তি’ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়নি। তবে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সময়মতো প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও নির্দেশনা দেওয়া হবে। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
তাদের মতে, এখন থেকেই স্থানীয়দের মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। বিশেষ করে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলতে হবে। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখতে হবে, যেন জরুরি প্রয়োজনে মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় শক্তির খবর পেয়ে উপকূলীয় ১৯ টি জেলার মানুষের মধ্য খুবই আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে উপকূলীয় সাতক্ষীরা খুলনা বাগেরহাট বরগুনা ঝালকাঠি পিরোজপুর ভোলা লক্ষীপুর নোয়াখালী ফেনী চাঁদপুর চট্টগ্রাম কক্সবাজার এর উপকূলের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে কেননা বারবার এসব উপকূলে মানুষ ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলা করে জীবন বাজি রেখে বেঁচে আছে সে কারণে ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেলেই তাদের মনে এক ধরনের দুশ্চিন্তা আতঙ্ক বিরাজ করে। তারপরেও এই সমস্ত জেলাগুলোতে উপকূলীয় অঞ্চলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়ি বাঁধের খুব খারাপ অবস্থা কারণ ১৯৬৭/৬৮ সালে উপকূলের পান উন্নয়ন বোর্ডের পূর্ণাঙ্গ রাস্তা নির্মাণ হয় তারপর থেকে জড়াতলী দিয়ে দিয়ে এ পর্যন্ত চলে আসছে অতি জলোচ্ছ্বাস ্বাস ঘূর্ণিঝড় হলেই উপকূলের রাস্তা তলিয়ে এবং ভেঙ্গে উপকূলে মানুষের ব্যাপক জার্মানের ক্ষতি হয়। সে কারণে ঘূর্ণিঝড় আসলে উপকূলের মানুষ জীবনটা হাতের মুঠোয় রেখে ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলা করে বেঁচে থাকে এই হচ্ছে উপকূলীয় মানুষের দৈনন্দিন জীবন। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাম প্রকাশে অপারকতা প্রকাশকারী প্রধান প্রকৌশলী এই প্রতিবাদককে বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়ি বাঁধ নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য একটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প এটি সরকারের যে প্রতিবছরের নিয়মিত বাজেটে বরাদ্দ থাকে তাতে এই বাঁধ নির্মাণ করা কোন মতেই সম্ভব না। তিনি আরো বলেন উপকূলে টেকশই মজবুত ফেরিবাদ নির্মাণ করতে হলে বিদেশী দাতাদের বড় অর্থের প্রয়োজন সেজন্য সরকারকে জায়িকার মত আরও অন্যান্য দেশে অর্থায়নের জন্য যোগাযোগ করা এক্ষুনি প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা না হলে দেশের সামান্য অর্থে প্রতিবছর এভাবে জোড়া তালি দিয়ে কাজ করলে কোন কাজে আসবে না।