জন্মভূমি ডেস্ক : ভারতের জনপ্রিয় সুরকার এ আর রহমানের নামে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ভারতের জনপ্রিয় গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য। ‘ইয়েস বস’ ও ‘বাদশা’র মতো সিনেমায় জনপ্রিয় গান তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে খ্যাতির শীর্ষে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি শুধু দুবার সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের সঙ্গে কাজ করেছেন। গায়কের দাবি, তার একটিও সুখকর অভিজ্ঞতা ছিল না। তাঁর কথায়, ‘এ আর রহমানের সঙ্গে কাজ করা বিরক্তিকর।’
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় গায়কদের একজন ছিলেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। এ আর রহমান ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় সুরকার। লেহরেন রেট্রোর কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ জানান, এ আর রহমান তাঁকে ‘রঙ্গিলা’ সিনেমায় একটি গান গাওয়ার জন্য ডেকেছিলেন। গানটি ছিল ‘কেয়া কারে কেয়া না কারে’। অভিজিৎ জানান, তাঁর কাছে ডাক আসার আগেই উদিত নারায়ণ সেই গান রেকর্ড করে ফেলেছেন। তাঁর কথায়, ‘তারা আমাকে ফোন করে বলেছিল যে, গানটি পরিবর্তন করা হয়েছে। এবং যেহেতু উদিত ইতিমধ্যে চরিত্রের জন্য গেয়েছেন, আপনার কণ্ঠ অন্যভাবে ব্যবহার করা হবে।’
গায়ক আরও জানান, সেখানে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন, ‘কাজের কোনো ছিরিছাঁদ ছিল না’ সেখানে। দীর্ঘক্ষণ হোটেলের কক্ষে অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাঁকে। অভিজিৎ স্মরণ করেন, এর কারণে তিনি পরের দিনের অন্যান্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট মিস করেছিলেন। কারণ তিনি চেন্নাইতে আটকে ছিলেন। এমনকি গানটি কী ছিল, সে সম্পর্কেও তাঁর কোনো ধারণা ছিল না। কারণ তাঁকে আগে থেকে মহড়া দেওয়ার জন্য কিছুই দেওয়া হয়নি।
‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এটা গানের জায়গা নয়।’ বলেন অভিজিৎ। এরপর সিনেমা মুক্তির পর তিনি দেখেন যে এ আর রহমান সিনেমায় শুধু উদিতের সংস্করণটিই রেখেছেন।
অভিজিৎ এরপর বলেন, এ আর রহমান তাঁকে আবার ‘দিল হে দিল মে’ থেকে ‘এ নাজনীন সুনো না’ রেকর্ড করার জন্য ডাকেন। সেই সময় তাঁকে রাত আড়াইটায় ডাকা হয়, যার ফলে তিনি পরদিনের অ্যাপয়েন্টমেন্টগুলো মিস করেন। তিনি শেয়ার করেন, তিনি যখন এই গান রেকর্ড করেছিলেন, তখন এ আর রহমান নাকি সেখানে উপস্থিতও ছিলেন না। তিনি এ আর রহমানের সহকারীর তত্ত্বাবধানে গানটি রেকর্ড করেন।
এরপর থেকে এ আর রহমানের কাছ থেকে ডাক পেলেও তাতে সাড়া দেননি অভিজিৎ ভট্টাচার্য। তারা আর কখনো একে অপরের সঙ্গে কাজ করেননি।