
মাদক ও কিশোরগ্যাং বন্ধের দাবি ওয়ার্ডবাসির
এম সাইফুল ইসলাম : নগরীর ২০ নং ওয়ার্ড। এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়নে সংকট নেই। তবে ওয়ার্ডবাসীর দাবি একটি মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত মডেল ওয়ার্ড।
শিববাড়ী মোড়ের একাংশ কেডিএ এভিনিউ, ময়লাপোতা, ফারাজীপাড়া খানজাহান আলী সড়কের একাংশ, ফেরীঘাট সঙ্গিতার মোড়, বাগান বাড়ী, কেডিএ নিয়ে গঠিত খুলনার প্রধান প্রাণ কেন্দ্র ২০ নং ওয়ার্ডটি। মোট জনসংখ্যার বসবাস প্রায় ৩০ হাজারের বেশি হলেও ভোটার সংখ্যা মাত্র ১৩ হাজার ৯শ ৪০ জন। রয়েছে খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর, ব্যাংক পাড়াসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ভবণ।
বর্তমান কাউন্সিলর শেখ মোঃ গাউসুল আজম জানান, এ ওয়ার্ড খুলনার প্রধান প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। মেয়রের সহযোগীতায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এখন ওয়ার্ডে হয়তো বা কিছু অলিগলি রাস্তা ঘাট সমস্যা থাকতে পারে তবে উন্নয়ন কাজ চলমান আছে।
একটি সিটি গালর্স স্কুল নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি একটি আধুনিক ওয়ার্ড অফিস করা জরুরি। এই ওয়ার্ডে প্রধান সড়ক গুলো খুবই আধুনিকায়ন করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন ফুটপাত সহ আরসিসি কভার ড্রেনেজ তৈরি করা হয়েছে। এখন আর বৃষ্টিপাত হলে সড়কে কোন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়না। করোনাকালিন সরকারী সাহয্যের পাশাপাশি সময়ে আমি নিজ অর্থায়নে গরীব অসহায় মানুষকে সাহায্য করেছি। টিসিবির মোট ৩৫শ কার্ডের মধ্যে আমি যেসকল মানুষদের টিসিবির কার্ড পাওয়ার দাবিদার আমি তাদের মাঝে বন্টন করেছি।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও কাউন্সিলর প্রার্থী মীর মোহাম্মদ লিটন জানান, ওয়ার্ডে রাস্তা ঘাট সংস্কারসহ বেশ উন্নয়নমূলক কাজ চলমান আছে। তবে, বেশকিছু রাস্তা রয়েছে, যেগুলোর বেহাল দশা। এছাড়া এলাকার ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা, মশার উপদ্রব, মাদক ও কিশোর গ্যাং এর উৎপাতসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এলাকাবাসী। এ ওয়ার্ডে কোনো কমিউনিটি সেন্টার নেই।
আমি নির্বাচিত হলে এলাকার অসমাপ্ত রাস্তা সংস্কারের কাজ সমাপ্ত করবো। বর্জ্য বা আবর্জনার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণ, পর্যাপ্ত লোকবলের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করার চেষ্টা করবো। এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি মেয়র যথেষ্ট কাজ করে যাচ্ছে। আমি এই কাজকে গতিশীল করার জন্য যতটুকু পরিশ্রম করা প্রয়োজন, ততটুকু করবো। মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত ওয়ার্ড উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়া এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, একটি কমিউনিটি সেন্টার করার জন্য যা করা লাগে, সেটি করবো। শেখপাড়া বাজারের জরাকীর্ণ অবস্থা পরিবর্তন করবো।
কাউন্সিলর প্রার্থী মো: বাদশা হাওলাদার বলেন, সিটি মেয়র পুরো সিটিতে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। তবে, এই ওয়ার্ডের আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি। এলাকার বিভিন্ন স্থানে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকে। এই ওয়ার্ডের সর্বোচ্চ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করবো। কারো কোনো ভোগান্তি থাকবে না। এছাড়া, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করার চেষ্টা করবো। এই ওয়ার্ডের অধিকাংশ মানুষের অন্যতম আকাঙ্খা একটি কমিউনিটি সেন্টার। আমি জয়ী হলে, কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের চেষ্টা করবো। যেসব সড়কে বৈদ্যুতিক বাতি নাই, সেসব স্থানে বৈদ্যুতিক বাতি সরবরাহ করবো। ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার চেষ্টা করবো।