তালা প্রতিনিধি : কপোতাক্ষ নদের তীরে নির্মিত তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা নীলিমা ইকোপার্ক সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ইকোপার্ক সংলগ্ন কাঁচাবাজারের ভ্রাম্যমাণ বেশ কয়েকটি দোকান। এতে দুর্ভোগের মুখে পড়েছে সংশ্লিষ্ট দোকানদাররা। সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে কপোতাক্ষ নদ পুনঃখনন করার পর তৎকালীন তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেন এবং সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে কপোতাক্ষ নদের পাটকেলঘাটা বাজারের খেয়াঘাট অংশ ভরাট করে নীলিমা ইকোপার্ক সংলগ্ন কাঁচাবাজার গড়ে তোলা হয়। সপ্তাহে দু’দিন শনি ও বুধবারে এখানে বিশাল হাট বসে। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এ হাটে কেনা-বেচা করতে আসে। ফলে এই হাট সংলগ্ন নদের পাশে ওয়াপদার উপর বেশ কয়েকটি দোকান গড়ে তোলে এলাকায় গরীব অসহায় মানুষ। কিন্তু এই ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোর কোনো বৈধ কাগজ না থাকায় প্রতিবছর উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ভেঙে দেওয়া হয়। সবশেষ বৃহস্পতিবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল আমিন থানা পুলিশ নিয়ে কাঁচাবাজার বিএনপি অফিস, শেখ গোলাপ, রফিকুল ইসলাম, সাহাজুল, আজিজুল, চিন্তামনি ও মোজামের চায়ের দোকান ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এছাড়া ইব্রাহিম মোড়ল ও শামসুদ্দিনের পিয়াজু ভাজার দোকান, কাবিলের রুটির দোকান, শাহাজান, হোসেন, রেজাউল, ইদ্রিস, বাবলু, লক্ষন ঘোষ, অনিল, এরফান, গফফার ও বাবুর তরিতরকারির দোকান ভেঙে ফেলা হয়। আখের রস বিক্রেতা নজরুলের দোকান ও সালেহার ফুসকার দোকাটিও ভাঙ্গা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভুক্তভোগী দোকানদাররা। তারা বলেন, আমাদের অন্য কোনো জায়গায় পুর্নবাসন না করে এভাবে দোকানগুলো ভেঙ্গে পথে বসানো হলো। আমরা এখন পরিবারের ভরনপোষণ কিভাবে মিটাবো। তাড়াছা এ জায়গা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলে বাজারের লোকজন ময়লা আবর্জনা ফেলে ভাগাড়ে পরিণত করবে। চায়ের দোকানদার গোলাপ জানিয়েছেন, সারাদিন চা বিক্রি করে ঢাকা বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াচ্ছে তার পুত্র সন্তানকে। অন্যদিকে তার এক মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের ছাত্রী। এই চায়ের দোকানটি ভেঙে দেওয়ায় সে এখন মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেল বলেন, অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকানগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য দোকানদারদের বার বার বলা হলেও তারা সরিয়ে না নেওয়ায় উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে তাদের পুনর্বাসন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।