
জন্মভূমি ডেস্ক : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মো. আবু তাহের আজ তাদের মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেন। খবর বাসসের
অব্যাহতি পাওয়া অপর দুইজন হলেন-সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ সকালে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করে তিনজনের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি দেন।
একইসঙ্গে এই তিনজন ব্যতীত মামলার অপর আসামি হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান ও মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন ও হান্নান ভুইয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১৩ জন। এর মধ্যে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
মামলা চলাকালীন অপর চার আসামি-ব্যারিস্টার আমিনুল হক, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম এবং সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন মারা যান।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। একই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদক উপ-পরিচালক মো.আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসি’র সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন করা হয়।