কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি অবসানে দুই বছর লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (ডবিøউএইচও) ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) জেনেভা থেকে অনলাইন মিডিয়া ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
টেড্রোস বলেন, ১৯১৮ সালে শুরু হওয়া স্প্যানিশ ফ্লু মহামারিকে পরাস্ত করতে দুই বছরের বেশি সময় লেগেছিল। কিন্তু, প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে কোভিড-১৯ তুলনামূলক কম সময়ের মধ্যেই হটানো সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, যদিও করোনা সংক্রমণে গতি এখন পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী। তবে, সংক্রমণ থামানোর প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও জ্ঞান বর্তমান বিশ্বে রয়েছে।
এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, করোনা মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য, বৈশ্বিক সংহতির ওপর জোর দিয়েছেন ডবিøউএইচও প্রধান।
এছাড়াও, বিভিন্ন দেশে ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ (পিপিই) নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, যে কোনো ধরনের দুর্নীতিই অগ্রহণযোগ্য। তার মধ্যে পিপিই নিয়ে দুর্নীতি। হত্যাকাÐের সমতুল্য।
অন্যদিকে, এক প্রশ্নের জবাবে ডবিøউএইচও’র জরুরি স্বাস্থ্য কর্মসূচির প্রধান ড. মাইক রায়ান বলেছেন, মেক্সিকোতে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা কম হওয়ায় সেখানকার প্রকৃত সংক্রমণ পরিস্থিতি বোঝা যাচ্ছে না।
ওয়ার্ল্ডোমিটার জানাচ্ছে, করোনায় মৃতের সংখ্যায় বিশ্বে তৃতীয়স্থানে থাকা মেক্সিকোতে এখন পর্যন্ত লাখ প্রতি তিন জনের করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। যেখানে, সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে লাখ প্রতি ১৫০ জনের করোনা পরীক্ষা করিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ১৯১৮ সালের প্রাণঘাতী স্প্যানিশ ফ্লুতে বিশ্বজুড়ে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আর নভেল করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় আট লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ।