
সিরাজুল ইসলাম শ্যামনগর : কালিগঞ্জের কালিন্দী, ইছামতি ও যমুনা নদীর ত্রিমোহনার পোর্ট বসন্তপুরে বেড়িবাঁধে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে পোর্ট বসন্তপুর ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ সরেজমিনে পরিদর্শনে করেন। তিনি বলেন, ওয়াপদার বেড়িবাধেঁর তলা ছিদ্র করে বসানো ঝকিপূর্ণ পাইপ গুলো দ্রæত সময়ের মধ্যে অপসরণ করা হবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সৈয়েদ শহিদুল আলম, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বিভাগ-১ এর নিবাহী প্রকৌশলী মোঃ সালাউদ্দিন, কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শুভেন্দু বিশ^াস, শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান সরদার প্রমুখ। উল্লেখ্যঃ গত রবিবার রাতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের পোর্ট বসন্তপুর বলরামের চরে বেড়িবাঁধে আকস্মিকভাবে ভাঙন দেখা দিলে পাঁকা পিচের রাস্তার অর্ধেক ধসে। এতে করে এলাকাবাসির মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দ্রæত মেরামতের কাজ শেষ করেন। এছাড়াও একই এলাকায় বেড়িবাঁধে আরো ৪টি স্থান চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। স্থানীয় বসবাসকারী ব্যাক্তিরা বলেন, পোর্ট বসন্তপুরের নদীর ভাঙ্গন স্থায়ী সমাধান না হলে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির নিয়মিত টহল ব্যাহত হবে। সেই সাথে ঝুঁকির মধ্যে থাকবে বসন্তপুর তহশীল অফিস, একাধিক মসজিদ, হযরত বুলা সৈয়েদ পীরের দরবার শরীফসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এলাকার হাজার হাজার পরিবার। বিকেলে কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শুভেন্দু বিশ^াস এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, দ্রæততম সময়ের মধ্যে মেরামত কাজ শেষ করা হবে। আপাতত জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হলেও স্থায়ী সমাধানের জন্য আলাদা প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষা মৌসুমের আগে ভাঙন কবলিত এলাকা গুলোতে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে সীমান্ত এলাকার অনেক বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত বড় ধরণের হুমকির মুখে পড়বে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সুকামার দাশ বাচ্চু, এসএম, আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্চু, ইশারাত আলী, ফজলুল হক, ফরিদুল কবির, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।