সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া খাতুন তার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন। নিজের পরকীয়া ঢাকতে স্বামীর বিরুদ্ধে এমন মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ২১ মার্চ স্বামী সাজেদুল হক সাজুকে আসামি করে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদলতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় প্রতারণা ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং পিটিশন ১৪৩/২৩। মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত সাতক্ষীরা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিকেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় বাদী ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া উল্লেখ করেছেন ২০২২ সালে ৯ নভেম্বর দুই জনের সম্মতিতে ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক ১ কোটি টাকার দেনমোহরে তার সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় তলায় বিবাহ হয়। পরে স্বামী বিয়ের রেজিষ্ট্রি কাবিন জাল করে প্রতারণা করে। এছাড়া একাদিক মেয়েদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করার অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। এমনকি জাল কাবিননামা তৈরি করে স্ত্রী না হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রীর মতন ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ এবং বিয়ে অস্বীকার করায় এ মামলা করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে চেয়ারম্যান সাফিয়ার স্বামী কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সাজেদুল হক সাজু জানান, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে তার স্ত্রী চেয়ারম্যান সাফিয়া খাতুন তার বাড়িতে পরকীয়া প্রেমিক স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুলকে ডেকে নিয়ে আসে। গভীর রাতে চেয়ারম্যান সাফিয়া ও তার প্রেমিক রফিকুল ইসলামকে এক ঘরে ধরে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলি। পরে আমি সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজার অনুরোধে উনার মধ্যস্থতায় মুচলেকা নিয়ে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে অবগত করে ছেড়ে দেয়। তার পরকীয়াকে ঢাকতে পরে সে একটি কোটি টাকার জাল কাবিননামা করে আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে। আমি সেটা আদালতের মাধ্যমে প্রমান করবো। আমি সেই রাতের পরকীয়ার ঘটনার যাবতীয় তথ্য প্রশাসনকে দিয়েছি। সাজু কালিগঞ্জ উপজেলার মহৎপুর গ্রামের শিরাজুল ইসলাম মাষ্টারের ছেলে।
মামলার বাদী কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন সেলফোনে মামলার বিষয়টি স্বিকার করে জানান, তার স্বামী বিয়ের কাবিন নিয়ে তার সাথে প্রতরনা করেছেন। একই সে তার ইচ্ছার বিরুদ্দে তাকে ধর্সন করেছেন এসব বিষয়ে তার স্বামীর নামে মামলা দায়ের করেছি।
সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম গোলাম রেজার নিকট চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভিন এবং তার স্বামী সাজেদুল হক সাজুর সালিশ, মুচলেকা বিষয় জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, চেয়ারম্যান সাফিয়ার বাবা মোশাররফ হোসেন আমার খুব রাজনৈতিক প্রিয় ব্যক্তিত্ব মানুষ ছিলেন। সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ার পরে সাফিয়াকে আমি নিজের সন্তানের মতন ভালোবাসতাম। কিন্তু বিভিন্ন পরকীয়ায় জড়িয়ে মেয়েটি নষ্ট হয়ে গেছে।