কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এলাকাবাসী ফয়সাল মাহমুদ বাদশা ওরফে পেরেক হুজুর নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের সোপর্দ্দ করেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ পৌরসভার সামনে হয়রত ফাতেমা (রা:) কওমী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার তিল্লা গ্রামের নূর আলীর ছেলে ফয়সাল মাহমুদ বাদশা ওরফে পেরেক হুজুর ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও মালিক বলে জানা গেছে। পুলিশ গনপিটুনিতে আহত পেরেক হুজুরকে নিয়ে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে রাতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানায়, ওই হুজুর তার মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করে। এমন খবর পেয়ে এলাকাবাসী মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ওই মাদ্রাসার সামনে জড়ো হয়। এ সময় হুজুরকে পেয়ে এলাকাবাসী গনপিটুনির পর পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ইতিপূর্বে ওই হুজুরের নামে এলাকাতে এমন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তিনি কয়েকবার ধরাও পড়েছে। বিভিন্ন সময় সে প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ছত্রছায়ায থেকে এই অপকর্ম থেকে পার পেয়ে থাকেন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু আজিফ জানান, যৌন হয়রানীর বিষয়ে দুই পক্ষের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। ছাত্রীর অভিভাবকরা বলেছে, যৌন হয়রানি করায় তাকে স্থানীয়রা গনপিটুনি দিয়েছে। আর অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেছে, কিছুদিন আগে এক অভিভাবক মাদ্রাসাতে প্রবেশ করা নিয়ে বিরোধে এমনটি হয়েছে। তবে, অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোন অভিযোগ দেয়নি। এজন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।