ডেস্ক রিপোর্ট : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়া এলাকায় বিগত সরকারের সময়ে প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিস নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। নতুন এই সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয় উদ্বোধন করতে গেলে জমির মালিকরা বাঁধা দিয়েছেন। পরে জমির মালিকদের সাথে কথা বলে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন কর্মকর্তারা।
কালীগঞ্জ যশোর মহাসড়কের পাশে আড়পাড়া এলাকায় ৫৩৪নং খতিয়ানের ৫৮৭নং দাগে ২৪ শতাংশ জমিতে ৪ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। গণপূর্ত বিভাগ ভবনটি নির্মাণ করে। এই কাজের ঠিকাদার ছিলেন মেসার্স মিজানুর রহমান। কিন্তু জমির মালিক প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ না পাওয়া ও বিগত সরকারের সময়ে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার জোরপূর্বক জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ করেছেন জমির মালিকরা।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে ভবনটি উদ্বোধন করতে যান ঝিনাইদহ জেলা রেজিস্ট্রার সাব্বির আহমেদ, উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার রিপন মুন্সি। এ সময় কালীগঞ্জ থানার এসআই তকিবুর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।জমির মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, কালীগঞ্জ যশোর মহাসড়কের পাশে তাদের ৩ মালিকের ওয়ারেশসহ ১৭ জনের ১২৪ শতক জমি রয়েছে। যা তারা মালিকগণ পৃথক ভাবে ভোগ দখল করছেন। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের সময় রেজিষ্ট্রি অফিস নির্মাণের জন্য জমির মালিকদের অবগত না করেই এই জমির মধ্যে থেকে ২৪ শতক জমি গোপনে অধিগ্রহন করেন। এক পর্যায়ে আমাদের জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে মর্মে চিঠি দিয়ে টাকা গ্রহনের জন্য বলা হয়। তারা এটার প্রতিবাদ করে তৎকালীন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলামের কাছে গোপনে জমি অধিগ্রহনের কারণ জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে টাকা গ্রহনের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
নিহত ঝিনাইদহ ৪ সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ও তখনকার দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন জোর করে তাদের মার্কেট ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন। এদিকে এই জমির মধ্যে থেকে প্রায় ১০ শতক ইতোমধ্যে সড়ক বিভাগ অধিগ্রহন করেছেন। সেই একই জমি থেকে আরেক দফা অধিগ্রহন করা সম্পূর্ণ আইন বিরোধী। এই ভবন নির্মাণ নিয়ে ইতিমধ্যে মামলা চলমান ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট জেলা দপ্তরে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার রিপন মুন্সি বলেন,গণপূর্ত বিভাগ ভবনটি হস্তান্তর করেছে। অফিস স্থানান্তর করতে দেখার জন্য বিকালে জেলা রেজিস্ট্রারসহ আমরা নতুন ভবনে যায়। সেখানে জমির মালিকদের সাথে কথা বলে চলে এসেছি।
