
জন্মভূমি ডেস্ক : ফজরের নামাজ পড়তে ঘর থেকে বের হন ইজাজুল ইসলাম (৩০)। পথে একদল কুকুরের সামনে পড়ে আক্রমণের শিকার হন। পরে তাকে কামড়ে ক্ষত-বিক্ষত করে নাড়িভুঁড়ি ও একটি চোখ বের করে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইজাজুল।
আজ রোববার (১৯ মে) ভোরে ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার চারআনিপাড়া নদীরপাড় মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
ইজাজুল নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের উত্তর শেরপুর গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে। খবর পেয়ে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
স্থানীয়রা জানায়, ইজাজুল এসিআই কম্পানির কনজ্যুমার প্রডাক্টের একজন বিক্রেতা ছিলেন। ঘটনাস্থলের কাছে অবস্থিত মো. শহীদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির বাসায় ভাড়া থাকতেন। ইজাজুল প্রতিদিন বাসার কাছে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যেতেন। আজও তিনি ফজরের নামাজ পড়ার জন্য বাসা থেকে রাস্তায় বের হন।
তখনই তিনি সড়কের ওপর শুয়ে থাকা একদল কুকুরের সামনে পড়েন। কুকুরের দলটি ইজাজুলকে কামড়ে ক্ষত-বিক্ষত করে। সড়ক নির্জন থাকায় ও আশপাশের বাসার মানুষজন ঘুমিয়ে থাকায় ইজাজুলের চিৎকার কেউ শুনতে পাননি। তবে কেউ কেউ কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দ শুনতে পেলেও সেটি তাদের কাছে নিত্যদিনের ঘটনা বলে মনে হয়েছে। কুকুরের দলটি কামড়ে ইজাজুলের নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলে।
মুখমণ্ডল কামড়ে ক্ষত-বিক্ষত করে। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এখানে কুকুরের উৎপাত রয়েছে। এরা দলবদ্ধ হয়ে চলাচল করে। গত বৃহস্পতিবার মহল্লার এক নারীকে কামড়িয়ে ক্ষত-বিক্ষত করেছে। ইজাজুলকে কামড়ানোর সময় সড়কটি নির্জন ছিল। কুকুরের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে সেটি নিত্যদিনের ঘটনা বলে মনে হয়েছে।
ঘটনার পর ইজাজুলের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকা অবস্থায়ও বেশ কয়েকটি কুকুরকে আনাগোনা করতে দেখা গেছে। কেউ বাধা দিলে ঘেউ ঘেউ করে এগিয়ে আসে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মজিদ কুকুরের কামড়ে একজন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

