
জন্মভূমি ডেস্ক : কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় মৌসুমি খাতুন (২৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের দাবি, যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি মৌসুমিকে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের সদকী রায়পাড়া এলাকা স্বামীবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূ মৌসুমি ওই এলাকার কাতার প্রবাসী মো. মাসুদ হোসেনের (৩২) স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১১ বছর আগে উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের চড়াইকোল এলাকার মো. ইউনুছ আলীর মেয়ে মৌসুমির সঙ্গে সদকী ইউনিয়নের রায়পাড়া এলাকার মো. আনার প্রামাণিকের ছেলে মাসুদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের টাকা দাবি করে আসছিল। মেয়ের সুখের জন্য ইউনুছ আলী কয়েকবার নগদ টাকা ও নানাবিধ আসবাবপত্র দিয়েছেন। ছয় মাস আগে মাসুদ জীবিকার জন্য কাতারে গিয়েছেন। বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই মাসুদ ও তার পরিবারের লোকজন পুনরায় যৌতুক দাবি করেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কয়েকবার সালিশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ মৌসুমির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মৌসুমির বাবা মো. ইউনুছ আলী বলেন, মেয়ের সুখের জন্য কয়েকবার নগদ টাকা ও আসবাবপত্র দিয়েছি। জামাই বিদেশে যাওয়ার পর পুনরায় যৌতুকের টাকা দাবি করে। এ নিয়ে কয়েকবার সালিশ হয়েছে। হঠাৎ ভোরে জানতে পারি মেয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার দাবি, ‘যৌতুকের টাকা না পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শাশুড়ি জহুরা খাতুন বলেন, রাতে ছেলে ও বউয়ের ঝগড়া হয়েছিল। এজন্য ছেলের বউ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাকে কেউ মারেনি।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মরদেহটি স্থানীয়রা আগেই নামিয়েছিলেন। খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তবে গৃহবধূর গলায় দাগ আছে।