
হারুনার রশীদ বুলবুল, কেশবপুর : কেশবপুরে নবজাতক জমজ শিশু হত্যার বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন কেশবপুর থানায় যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব বেলাল হোসাইন।
কেশবপুর পৌর সভার ১ নং ওয়াড সাহাপাড়া সংলগ্ন এলাকার আব্দুল লতিফ হাওলাদারের মেয়ে সুলতানা খাতুনের গত ১০ নভেম্বর রাতে হাসপাতাল সড়কে মাতৃমঙ্গল ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়।
২২ নভেম্বর ভোরে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে নবজাতক ১৩ দিনের দুটি শিশুর লাশ উদ্ধার করাসহ স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেছে কেশবপুর থানা পুলিশ।এই বাচ্চা পেটে আসার পাঁচ ছয় মাস পরে নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলো। এর পর এই শিশু হত্যার পিছনে এই শিশুর মা এবং শিশুর নানী জড়িত থাকার কথা বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।
জানা যায় সুলতানা খাতুনের ইতি পূর্বে বিয়ে হয়েছিল সেই স্বামী থাকা কালিন বর্তমান স্বামী আবুবক্কর সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। আগের স্বামী ছেড়ে দিয়ে বর্তমান স্বামী আবুবকরের সাথে বিয়ে করে। আবুবকর কেশবপুর মাইওয়ান স্ব -রুমে চাকরি করে। তার বাড়ি কেশবপুর উপজেলা ২নং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের বাশঁবাড়িয়া গ্রামে।জমজ শিশু দুটিকে পোস্টমটামে পাঠায়। থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সুলতানা খাতুন স্বীকারোক্তি দেয় স্বামীর পরকীয়ার কারণে সে এই শিশু হত্যা করে। মামলার তদন্ত অফিসার এস আই গোরাচাঁদ দাস।