
হারুনার রশীদ বুলবুল, কেশবপুর : যশোরের কেশবপুর গরুর খুরারোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। দুই মাসে অন্তত ২০ টি খুরারোগে মারা গেছে। সাধারণত টিকা দিয়ে খুরারোগের চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু কেশবপুর উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী টিকার সরবরাহ অনেক কম হওয়ায় গরুর খুরারোগের চিকিৎসাও ব্যাহত হচ্ছে। এতে গরুর মালিক ও কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৬০ টি গরু খুরারোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ২০ টি গরু মারা গেছে। সরকারি তথ্যের বাইরেও অনেক গরুর খোরারোগ হয়েছে এবং মারা গেছে বলেও গরুর মালিকেরা জানিয়েছেন। গত দুই মাসে বাগদা, বায়সা, বেতিখোলা, মূলগ্রাম ও দেওলি গ্রামে এই রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গরুর মালিকেরা জানান, গরুর খুরারোগের টিকা সরকারি ভাবে সহজলব্য নয়। যে কারনে গরু বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত হলেই মারা যাচ্ছে খুরারোগ থেকে গরুকে রক্ষা করতে টিকা দিতে হয়। কিন্তু উপজেলায় টিকার ব্যাপক সংকট রয়েছে। তারা সরকারিভাবে টিকার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ সূত্র জানা যায় কেশবপুর ৯৩ হাজার গরু রয়েছে এর মধ্যে চার মাস বয়সী গরুর সংখ্যা ৬০ হাজার। এ বয়সের গরু টিকার আওতায় আনতে হয় বাৎসরিক ১ লাখ ২০ হাজার টিকার প্রয়োজন। সেখানে সরকারিভাবে গত দুই মাসে মাত্র ৬০ টি ভায়াল টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। এক ভায়ালে ১৬ টি গরুকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার বাগদা গ্রামের আবদুল জলিল মোড়লের দুটি গরু খুরারোগে মারা গেছে। আবদুল জলিলের দুইটি গরুর মূল্য দেড় লাখ টাকা হবে, একই দিনে দেওলি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের একটি গরু খুরারোগে মারা যায়। এর আগে মূল গ্রামের ইকবাল হোসেন এবং আবদুল খালেক এর দুটি গরু মারা গেছে। ইকবাল হোসেনের দুটি গরুর মূল্য ৮০/৯০ হাজার টাকা হবে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলোকেশ কুমার সরকার বলেন, এই রোগ থেকে গরুকে রক্ষার একমাত্র উপায় হচ্ছে গরুকে তিন- চার মাস পরপর টিকা দেওয়া। তাহলেই গরু খুরারোগে খেকে রক্ষা পাবে। তিনি আরো বলেন, এই রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দিলে তারা গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক করে টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। কিন্তু অনেকেই টিকা দেননি তবে তিনি স্বীকার করেন, সরকারিভাবে টিকার সরবরাহ অনেক কম।