কেশবপুর প্রতিনিধি : চোর ও মাদকসেবীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে চার গ্রামের শতশত মানুষ মানববন্ধন করেছেন শুক্রবার বিকেলে কেশবপুর উপজেলার ভেরটী বাজারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশ নেয় উপজেলার দশকাউনিয়া, ভেরটী, সারুটিয়া ও বুড়লী গ্রামের সাধারণ মানুষ। এসময় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির নেতা নূর এ আলম সিদ্দিকী ও বিএম ফারুক।
বক্তারা বলেন, গত ৬ মাসে চার গ্রাম থেকে প্রায় ৫০টি ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চুরি হয়েছে। এরই মধ্যে গত ১১ ডিসেম্বর গভীর রাতে দুটি জ্ঞানসহ দুই চোরকে পুলিশ হাতে নাতে আটক করলেও চোরদের গডফাদাররা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদেরকে অবিলম্বে আটকের দাবি জানানো হয় এই মানববন্ধন থেকে। অবিলম্বে তাদেরকে আটক না করলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান গ্রামবাসী।
গত ১১ ডিসেম্বর রাতে দশকাউনিয়া গ্রামের ভ্যান চালক অরুণ দাসের একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান, বিজয় দাসের একটি, ভেরয়ী গ্রামের জাফর গাজীর একটি, একই গ্রামের ওসমান গাজীর একটি, আলমগীরের একটি,
দশকাউনিয়া গ্রামের আনিসুর রহমানের একটি, ভেরটী গ্রামের আবুল শেখের একটি, দশকাউনিয়া গ্রামের খায়রুলের একটি, অলিয়ার রহমানের একটি, আছমত আলির একটি, রিপনের আলম সাদু একটি, সন্নাসগাছা গ্রামের সিরাজ শেখের দুটি ভ্যান, নওশের আলির একটি ভ্যান, দশকাউনিয়া গ্রামের নাজমুল শেখের একটি মটর পাম্প, কৃষ্ণপদ দাসের একটি ভ্যান, ভেচরী গ্রামের রনজিতের দুটি ভ্যানসহ প্রায় ৫০টি ইঞ্জিন চালিত ভ্যান ও মটর চোরেরা তাদের বাড়ি থেকে গভীর রাতে চুরি করে নিয়ে গেছে। এসব চুরির ঘটনায় থানায় একটি মাত্র মামলা হয়েছে বলে জানা যায়।
এছাড়া ৯নং ইউনিয়নে চুরি ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক বিক্রনয় ও সেবন দিন দিন বাড়লেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে এলাকার সচেতনমহল জানান।
ভেরচী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শামীম বলেন, এলাকায় চোরের উপদ্রব বেড়েছে। ইতিমধ্যে দুটি ভ্যানসহ দুই চোরকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি সবেমাত্র কেশবপুর থানায় যোগদান করেছি। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী, চোর, ছিনতাইকারী, মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর থাকবে থানা পুলিশ। তাদেরকে কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না।
কেশবপুরে চোর-মাদকসেবীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
Leave a comment