আশরাফুজ্জামান, কেশবপুর : যশোরের কেশবপুরে মাদকের জড়িয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের বিস্তার বেড়েছে। যেন মাদকে ভাসছে কেশবপুর। কেশবপুর পৌর শহরকেন্দ্রিক এলাকাসহ উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের এত ভয়াবহতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। উঠতি বয়সি যুবক, শিক্ষার্থীরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদকের সঙ্গে। মধ্যে উপজেলার মজিদপুর , শ্রীফলা, মঙ্গলকোট, চুয়াডাঙ্গা , কন্দর্পপুর, আলতাপোল, হাসানপুর, কাকিলাখালি, টিটাবাজিতপুর, বুড়িহাটি, সাগরদাঁড়ি,পাঁজিয়া, ব্রহ্মকাটি, বালিয়াডাঙ্গা , ও পৌর এলাকায় প্রতিনিয়ত স্থানীয় বহিরাগত যুবকেরা এসে মাদক ব্যবসা সহ সেবন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেশবপুর পৌর শহরের রাসেল হোসেন বলেন ইতিমধ্যে উপজেলার মধ্যকুল এলাকায় এক মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি এলাকায় মাদকদ্রব্য বিকি কিনি বৃদ্ধি পাওয়ায় সচেতন মহল বিস্ময় প্রকাশ করছেন। মঙ্গলকোট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাস বলেন, মঙ্গলকোট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর পিছনে বটগাছ তলায়, বসন্তিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ও রামকৃষ্ণপুর এলাকার দিকে মাদক বিক্রেতা এবং সেবনকারীদের আনাগুনা দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক বলেন, কেশবপুর পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের শীতলাতলা মোড় ৮ নং ব্রহ্মকাটি এলাকা ও ৬ নং কেশবপুর সদর ইউনিয়ন এর মূলগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিছনের উৎসাহ বিভিন্ন স্পটে সন্ধ্যার পর স্থানীয় এবং বহিরাগতদের নিয়ে ইয়াবা ও গাঁজা সেবনের আড্ডা জমে ওঠে। উপজেলা নাগরিক সমাজের আহ্বায় এডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এখনই যদি এদের রুখে দেওয়া না যায় তাহলে যুবসমাজ ও শিক্ষার্থীরা ধ্বংস হয়ে যাবে। কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করেছেন।তিনি বলেন পৌর শহরসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ব্যাপক হারে মাদক ছড়িয়ে পড়েছি। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ওসি জহিরুল আলম বলেন মাদকের সাথে কোন আপোষ নেই। তিনি কেশবপুরে মাদক নির্মূলে বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অনেকে জামিনে এসে আবারোও ব্যবসা শুরু করেছে। কেশবপুরে মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।