আশরাফুজ্জামান, কেশবপুর: যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ৫ নং মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বসুন্তিয়া গ্রামের শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার দৃশ্য ছিলো এটি। এই সাঁকো টি কেশবপুর নিউজ ক্লাবের সাংবাদিক দের প্রতিবেদনের পরে সংস্কার করা হয়। পাঁচারই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাঁচারই টি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০/৬০ জন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের যাওয়ার দৃশ্য টি ছিলো দেখে গাঁ শিউরে ওঠার মতো । অথচ দীর্ঘদিন এভাবে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলো বসুন্তিয়া গ্রামের এই শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন বুড়িভদ্রা নদীর ভাঙা বেলী ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতো শিক্ষার্থীরা। পাঁচারই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ভাই এর সাথে কথা হলে তিনি জানান আমরা দীর্ঘদিন এই সমস্যাটি সমাধানের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েছি সবাই আশ্বাস দিলেও সমাধান পায়নি এবার কেশবপুর নিউজ ক্লাবের সাংবাদিক দের প্রতিবেদনের পর এই সাঁকো টি সংস্কার করা হয়। বসুন্তিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বাস শহিদুল ইসলাম জানান ঐ এলাকার কোমল মতি শিশুরা খুব ঝুঁকিতে থাকে বৃষ্টি সময় খুব ভয় হয় যদি কোন দূর্ঘটনা ঘটে প্রধান শিক্ষক বিশ্বের শহিদুল ইসলাম স্থায়ী সমাধান চায় একটা ব্রিজ।তিনি আরও জানান পত্রিকায় নিউজ হওয়ার পর স্থানীয় মেম্বার মোসলেম উদ্দিন গোলদার চেয়ারম্যান আবদুল কাদেরের সহযোগিতায় সংস্কার কাজ করেন। বসুন্তিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী সুখদেব ও আয়শা খাতুন তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায় আমরা খুব ভয়ে ভয়ে স্কুলে আসি যদি পড়ে যাই আমরা একটা ব্রিজ চাই, তারা আরও জানায় তারা ভালো সাঁতার ও জানে না। বসুন্তিয়া গ্রামের এই শিক্ষার্থীদের জন্য কাছে এই দুটি প্রতিষ্ঠান , তাছাড়া বসুন্তিয়া গ্রামের শিক্ষার্থীদের আর যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে মঙ্গলকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দূরত্ব তিন থেকে সাড়েতিন কিলোমিটার যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের যাওয়া সম্ভব নয় তারা বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বুড়িভদ্রা নদীর উপর দেওয়া এই ভাঙা সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে যেত। শিক্ষার্থীদের অভিভাবক গন তাদের শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে কঠিন দূর্চিন্তায় থাকে আতংকে থাকতো । বসুস্তিয়া গ্রাম সহ এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের দাবি বুড়িভদ্রা নদীর উপর একটি ব্রীজ। যার মাধ্যমে বসুন্তিয়া গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নিরাপদে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করবে এবং অভিভাবকদের দূর্চিন্তা ও আতংকের দিন শেষ হবে। বিষয় টি কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন বসুন্তিয়ার এলাকাবাসী।