
জন্মভূমি রিপোর্ট
খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ মার্চ) বেলা সোয়া ৩টায় ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলা দায়েরের তিন ঘন্টার মধ্যে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে সকালে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে কয়রা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় চেয়ারম্যান ছাড়া অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের পর তার শাস্তির দাবিতে ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা-কমচারী ও এলাকার মানুষ থানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন।
কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আহত ইউপি সচিব ইকবাল হোসেনের দায়েরকৃত মামলায় চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২১ মার্চ চেয়ারম্যান বিকালে অফিসে এসে সচিবকে ডেকে পাঠান। আসতে না চাইলে এক পর্যায়ে লোকজন দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে এনে তাকে রাতেও কাজ করতে হবে বলে নির্দেশ দেন, কিন্তু তিনি তা করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তাকে সেখানে চার ঘন্টা আটকে রেখে বেদম মারপিট করেন। এতে তার ডান হাত বিভিন্ন স্থানে ক্ষত-বিক্ষত হয়। বাম হাত ভেঙে যাওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। পরদিন চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন সচিব।
অপরদিকে এই ঘটনায় চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে ২৩ মার্চ বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি (বাপসা) খুলনা জেলা শাখা দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও নগরীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। একই সাথে কর্মবিরতিও পালন করে সংগঠনের সদস্যরা।