শেখ আব্দুল হামিদ : খুলনা বিভাগীয় সরকারি গনগ্রন্থাগার চত্বরে গতকালের বইমেলায় প্রসাধনীর দোকানে ছিল উপচে পড়া ভিড়। তবে মেলায় বই ক্রেতাদের চেয়ে দর্শক স্রোতার উপস্থিতি ছিল বেশী। বইয়ের স্টলের চেয়ে কসমেটিক্স স্টলে ক্রেতাদের ভিড় বেশী দেখা যায়। সন্ধ্যায় দর্শনার্থী লেখক আর বই প্রেমিদের আগমনে গ্রহন্থাগার চত্বর কানায় কানায় ভরে ওঠে। বইয়ের স্টল গুলোতে নারী পুরুষের আনাগোনা হলেও খুবই কম ক্রেতার হাতে বই দেখা যায়। তবে বই বিক্রেতারা বলছেন, এখন পর্যন্ত খুবই কম লেখকের বই স্টলে এসেছে।
বই বিক্রেতা আলফা বুক হাউসের মনোজ কুমার দে বলেন, তিনি বৃহস্পতিবার খুবই কম বিক্রি করতে পেরেছেন। তবে শুক্রবার বেশ ভালই বই বিক্রি হয়। শনিবার সন্ধ্যার পর কিছুটা ক্রেতা দেখা যায়। তবে বই মেলায় দর্শনার্থী আসছে বেশী। কমার্স বুক ডিপোর বিক্রেতা শাহীন বলেন, তার বিক্রি বেশ ভালোই হয়েছে। লেখিকা এবং কবি রূপা বাড়ৈ বলেন, শুক্রবার কিছুটা বিক্রি হয়েছে। ছুটির দিনে একটু বিক্রি বাড়ে। তিনি আশা করেন দিন যতা যাবে বিক্রির পরিমান ততই বাড়বে।
তবে বইয়ের স্টলের চেয়ে গতকাল কসমেটিক্স ক্রয়ের জন্য নারীদের হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখা গেছে। তারা প্রশাধনি ক্রয়ের পর খাবারের স্টলে আড্ডা দেন। তাছাড়া মেলা চত্বরে বহু স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের ঘুরতে দেখা গেছে। বই বিক্রেতারা বলেন, শুধু ঘোরাঘুরির জন্যই অধিকাংশ মানুষ আসে। বই কেনার মন মানসিকতা নিয়ে কম লোক প্রবেশ করেন।
বিষয়টি নিয়ে খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের উপপরিচালক মো: হামিদুর রহমান বলেন, মেলায় শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করলে জমজমাট হয়ে ওঠে। তবে সবদিন তারা আসতে পারেনা। তিনি বলেন, বই মেলায় মোট ১০০টি স্টল থাকলেও শুধু মাত্র বইয়ের স্টল রয়েছে ৮০টি। শনিবার মেলার মূল মঞ্চে সাংস্কৃতিক আয়োজনে ছিল নতুন তারা সমাজ কল্যাণ ও সাহিত্য সংস্থার শিল্পীদের পরিবেশনায় আবৃত্তি অনুষ্ঠান। পরবর্তীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে ‘সৃষ্টিধারা’ ও ‘দোহী’ সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীবৃন্দ।