
বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক
চাল উৎপাদন ৮৩ লাখ মেট্রিকটন
হারুন-অর-রশীদ
ধান প্রধান খাদ্যশস্য। এর সাথে দেশের র্অথনীতি ও সংস্কৃতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ঘনবসতিপূর্ণ এ দেশের জনসংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে। বাড়িঘর, কলকারখানা, হাট-বাজার, সড়ক-জনপথ স্থাপন এবং নদী ভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আবাদি জমির পরিমাণ কমছে। এসব এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে নির্দিষ্ট পরিমাণ জমিতে বেশি ধান উৎপাদন করে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারে লক্ষ্য। ধান হেক্টর প্রতি গড় ফলন ১২৬ মেট্রিকটন নির্ধারণ করা হয়েছে। খুলনা কৃষি অঞ্চলে বীজতলা তৈরীর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কৃষক ব্যস্ত সমসয় পার করছেন।
এপ্রিল, মে ও জুন মাসে কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়াতে বীজতলা তৈরীতে কিছুটা বিলম্ব হলেও এখন দ্রুত বীজতলা তৈরীর কাজ চলছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বীজতলা ১৭৫৫২ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী করা হবে। রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯৭২৯৩ হেক্টর জমি এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৩৭৪১৮ মেট্রিকটন। গোপালগঞ্জ-খুলনা- বাগেরহাট -সাতক্ষীরা-পিরোজপুর জিকেবিএসপি প্রকল্প ৫০জন কৃষক এক বিঘা জমিতে ব্রি-৮৭ জাতের আমন চাষ করছেন। শ্যামনগর, আশশুনি, কালিগঞ্জ, বাটয়াঘাটা, দাকোপ, রামপাল, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, ইন্দুরকানী ও নাজিরপুর উপজেলায় চাষ করা হচ্ছে। এই প্রকল্প থেকে কৃষদের বিনা মূল্যে বীজ ও সুষম সার বিতরণ করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছেন খুলনা কৃষি অঞ্চলের মধ্যে খুলনা জেলায় বীজতলা তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা ৪৯০৬ হেক্টর জমি। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৩১৮৫ হেক্টর জমি। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭৫৬৯৩ মেট্রিকটন। বাগেরহাট জেলায় বীজতলা তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা ৫২৮১ হেক্টর। আবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৩০৯৬ হেক্টর জমি। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮২৯৫৫ মেট্রিকটন। সাতক্ষীরা জেলায় বীজতলা তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা ৪০৩০ হেক্টর। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করা হয়েছে ৮৮৭৫০ হেক্টর জমি। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫২৫৯০ মেট্রিকটন এবং নড়াইল জেলায় জমি বীজতলা তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা ২৪৩৫ হেক্টর। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২২৬২ হেক্টর জমি ও চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে মেট্রিকটন ১২৬১৮০ মেট্রিকটন চাল। চাল প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার মেট্রিকটন ৮১০ কেজি এবং ধান উৎপাদন এবং ধান উৎপাদন ৪ মেট্রিকটন। গোপালগঞ্জ-খুলনা- বাগেরহাট -সাতক্ষীরা-পিরোজপুর জিকেবিএসপি প্রকল্প পরিচালক অমরেন্দ্রনাথ বিশ^াস বলেন, ব্রি-৮৭ জাতের ধানে ফলন বেশী হয়। কৃষকদের সুষম সার ব্যবহার করতে হবে। কৃষকদের বীজ ও সার বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ বলেন, মৌসুম শুরুতেই বৃষ্টি কম হয়েছে। ফলে বীজতলা তৈরীতে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। তবে সামনে যে সময় রয়েছে তাতে বৃষ্টি হবে এবং আমনের বাম্পার ফল হবে। পূরণ হবে লক্ষ্যমাত্রা।