ছাদ ফাটা প্লাস্টার খসে পড়েছে
মোঃ এজাজ আলী : উপরের ছাদ ফাটা, নীচে রোগী, ছাদেও পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। এটি খুলনার ভেরব নদের তীরে অবস্থিত খানজাহান আলী থানার মিরের ডাঙ্গা খুলনা বিভাগীয় বক্ষব্যাধিথ হাসপাতালের চিত্র। যেখানে একুশ জেলার মানুষের জন্য একমাত্র সরকারিভাবে যক্ষা ও টিবি রোগীদেও চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে হাসপাতালের ভর্তিকৃত রোগীরা যেমন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন, ঠিক তেমনি চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ অন্যান্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সর্বাত্মক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালের সাতটি আবাসিক ভবন দীর্ঘদিন ধওে পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। তবে এসব পরিত্যাক্ত ভবনে চলে মাদকসেবীদেও আড্ডা। পরিত্যাক্ত ভবনে মাদকসেবীদের সরঞ্জামাদিসহ চলে নানা অপকর্ম। সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের জরাজীর্ণ দ্বিতল ভবনের সবগুলেঅ ওয়ার্ড এবং রুমের ছাদেও সবগুলো পলেস্তরা খসে পড়তে শুরু করেছে। ভবনের ছাদ স্যাঁতসেঁতে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে খুলনা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি) থেকে ভবনটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া রোগীদেও জন্য টয়লেটগুলে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। টয়লেটের পাশে পানির ট্যাপগুলো অকার্যকর হয়ে পড়েছে। যে কারনে আন্তঃ বিভাগের ভর্তি রোগীদের নিদারুন ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি হাসপাতালটিতে ব্লাড, এক্সওে, ইসিজি ছাড়া অন্য কোনো রোগের পরীক্ষার যন্ত্রপাতি নেই। বাকি পরীক্ষাগুলো রোগীদেও বাইওে থেকে করাতে হয়। যা গরীব রোগীদেও জন্য খুবই কষ্টসাধ্য।