# আক্রান্ত যশোরের নওয়াপাড়া শীর্ষে
শেখ আব্দুল হামিদ
রাজধানীতে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু রোগ খুলনা বিভাগেও উদ্বেগজনক হারে দেখা দিয়েছে। গত সাড়ে ৯ মাসে বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৮৪ জন। আক্রান্তের দিক থেকে যশোর জেলা রয়েছে শীর্ষে। তার পরেই নড়াইল এবং মাগুরার অবস্থান। চলতি মাসে ২১ দিনে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন শতাধিক ডেঙ্গু রোগী। খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় ২৬ জন। তাদের মধ্যে ১৮ জন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলেও এখনও ভর্তি আছেন ৮ জন। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর সংখ্যা দ্বিগুণ আকারে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় খুমেক হাসপাতালে দ্রæত ডেঙ্গু ওয়ার্ড প্রস্তুতির কাজ চলছে। এ হাসপাতালে এখনও ভর্তি আছেন ১১ জন রোগী। যার ৮ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয় ২৪ জন। চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে এপর্যন্ত বিভাগের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৮৪ জন রোগী। তার মধ্যে যশোর জেলায় রয়েছে ১৮৫ জন, খুলনায় ২৬ জন, বাগেরহাট ১০ জন, সাতক্ষীরায় ১৭ জন, নড়াইল ৬৫ জন, ঝিনাইদহ ৫ জন, কুষ্টিয়া ৩১ জন, মাগুরায় ৩৪ জন, চুয়াডাঙ্গা ৭ জন ও মেহেরপুর জেলায় ৪ জন। সরকারি এ হিসাব ছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন দ্বিগুণ রোগী। সূত্রটি বলছে যশোর জেলার নোয়াপাড়া এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সব চেয়ে বেশী।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব সূত্রে বলা হয়েছে, এখন প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৬ জন রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। চলতি মাসে চিকিৎসা নিয়েছেন শতাধিক রোগী। এছাড়া গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও খুলনা সদর হাসপাতালে অনেক রোগীই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোন রোগীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: রবিউল হাসান বলেন, গত কয়েক দিন ধরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই এখানে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এ পর্যন্ত মোট ১১ জন রোগী ভর্তী আছেন। রোগীদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা। তিনি বলেন, হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর জন্য পৃথক কোন ওয়ার্ড নেই। তারা করোনা ওয়ার্ডেও থাকতে চায় না। এজন্য দ্রæত একটি ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা চলছে। তিনি বলেন অনেকেই এসেছেন ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে। পরে তাদের পরীক্ষার পর ডেঙ্গু রোগের জিবানু ধরা পড়ে।
খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা: মো: মনজুরুল মুরশিদ দৈনিক জন্মভ‚মিকে বলেন, বিভাগে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। প্রতি ঘন্টায় আক্রান্ত হচ্ছে ১ জন। তবে জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশী আক্রান্তের সংখ্যা যশোর জেলায়। তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য মেডিসিনের পাশাপাশি খাবার ¯øাইনসহ ইন্টার ভেইন (আইভি) ¯øাইন দেয়া হয়।