জন্মভূমি রিপোর্ট : জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন পেতে তৎপরতা শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে খুলনা সংরক্ষিত আসন ১১ তে এবারে আলোচনায় রয়েছেন ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী মির্জা পরিবারের সন্তান মির্জা রাফিয়া আকতার। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান তিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করা ও দেশের খবর বাইরে পাচারের অপরাধে ১৯৭১ সালে তিন বার পাক হানাদার বাহিনী হাতে ধরা পরেন তার বাবা মির্জা এমদাদ হোসেন। তার সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের সারিবদ্ধভাবে দাড় করিয়ে গুলি করা হয়। এসময় তাদের বাড়ী পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো। তবে তার সরকারী আইডি কার্ড থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তার বাবা। তার আপন দুই চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা খয়বার হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা আফজাল হোসেন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশক্রমে ভারতের টেটরা ও টাকী ক্যাম্পে ইনচার্জ ও ক্যাম্প কমান্ডার হিসেবে নেতৃত্ব দেন। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা খয়বার যুদ্ধকালীন স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী কমান্ডার ছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মির্জা রাফিয়া আকতার। এর আগে এ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ ও খুলনা সরকারি বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ’র নব্বই দশকের ছাত্রলীগ নেত্রী তিনি। সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী সংসদ নির্বাচনে সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা ও পরবর্তীতে খুলনা সরকারি বিএল কলেজে নির্বাচন করে বিজয় লাভ করেন। করোনাকালীন সময়ে তিনি নিজ এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেছেন। শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন। দলীয় নির্দেশনায় বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনের প্রচার প্রচারণায় সারাদেশের জেলা উপজেলায় যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় অংশগ্রহণ করেন। ২০১৮ সাল ও ২৩ সালের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নৌকার প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। ২০১৮ সালে খুলনা-২ আসনের এমপি সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল ও খুলনা-৩ আসনের সাবেক এমপি বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এর পক্ষে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা হয়। ২০২৩ সালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন জেলায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশগ্রহণ করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলির নির্দেশনায় খুলনা-২ আসনে সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল ও খুলনা-৩ আসনের এমপি এসএম কামাল’র পক্ষে কাজ করেন। দলের সংকটময় মুহূর্তে দেশ ও জনগণের জন্য পদ পদবী ছাড়াও কাজ করেছেন তিনি।