বাতিল ১টি কেন্দ্র, বাতিলের সম্ভাবনা ১০টি কেন্দ্র, পরীক্ষার্থী ২৯ হাজার, এ বছর পরীক্ষার্থী কমছে ২৯১৩ জন
হারুন-অর-রশীদ : দুর্নীতি ও নকলমুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষা। এবছর যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধিনে খুলনায় ৫৮৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৯ হাজার ৫১৬ জন পরীক্ষার্থী ৮৯টি কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে এসএসসি ৫৭টি কেন্দ্রে ২৪ হাজার ৯৮ জন। দাখিল ১৩টি কেন্দ্রে ৩হাজার ৫৫১ জন এবং এসএসসি ভোকেশনাল ১০ শ্রেণি ১৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৮৬৭ জন অংশ নিচ্ছে। এটাই সবচে’ বড় পাবলিক পরীক্ষা। গতবছরের চেয়ে এ বছর শিক্ষার্থী কমছে ২৯১৩ জন।
সূত্র জানিয়েছেন, আগামী ৩০ এপ্রিল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে এই পরীক্ষা। এসএসসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে খুলনা জিলা স্কুল কেন্দ্রে ৯৭৩ জন অংশগ্রহণ করবে। সরকারি দৌলতপুর মুহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৮৬ জন অংশ নিচ্ছে। খুলনা পাবলিক কলেজ কেন্দ্রে ৪৫১ জন অংশ নিবে। বঙ্গবাসী মাধ্যমক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৬২ জন অংশ নিচ্ছে। নৌবাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩২৪ জন অংশ নিচ্ছে। গভ: ল্যাবরেটরী হাই স্কুল কেন্দ্রে ৩৪৯ জন অংশ নিচ্ছে। খুলনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৫৬ জন অংশ নিচ্ছে। খুলনা সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ২৭৯ জন অংশ নিচ্ছে। খুলনা ফয়েজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৩৫ জন অংশ নিচ্ছে। সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬০০ জন অংশ নিচ্ছে। সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮১৮ জন অংশ নিচ্ছে। বি.কে ইউনিয়ন ইনস্টিউট কেন্দ্রে ৪৬৫ জন অংশ নিচ্ছে।
খুলনা কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে ৩৭৫ জন অংশ নিচ্ছে। রোটারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৫০ জন অংশ নিচ্ছে। পল্লীমঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩০৮ জন অংশ নিচ্ছে। সরকারি ইকবাল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ২০৪ জন অংশ নিচ্ছে। ইসলামাবাদ কলেজেয়েট স্কুল কেন্দ্রে ২৪৮জন অংশ নিচ্ছে। খালিশপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২২৮ জন অংশ নিচ্ছে। আফিল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩২০ জন অংশ নিচ্ছে। দৌলতপুর মুহসিন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৭৫ জন অংশ নিচ্ছে। আর আর এফ সেকেন্ডারী স্কুল কেন্দ্রে ১১৪ জন অংশ নিচ্ছে। খানাবাড়ি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২০৭ জন অংশ নিচ্ছে।
চালনা বাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭০১ জন অংশ নিচ্ছে। দাকোপ বাজুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৩০ জন অংশ নিচ্ছে। পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৯৯ জন অংশ নিচ্ছে। কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির কেন্দ্রে ৩৩৪ জন অংশ নিচ্ছে। আর.কে.বি.কে হরিশচন্দ্র কলেজিয়েট ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে ২৯৯জন অংশ নিচ্ছে। চাঁদখালি বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৪৯ জন অংশ নিচ্ছে। গড়াইখালী আলমশাহী ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে ৩৮০ জন অংশ নিচ্ছে। পাইকগাছা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪০৬ জন অংশ নিচ্ছে। কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩২০ জন অংশ নিচ্ছে। বটিয়াঘাটা থানা হেডকোয়ার্টার মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৩৯ জন অংশ নিচ্ছে। খারাবাদ বাইনতলা স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৪৫১ জন অংশ নিচ্ছে। জলমা চক্রাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৯৪ জন অংশ নিচ্ছে। ডুমুরিয়া এনজিসি ও এনসিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৪৫ জন অংশ নিচ্ছে। শাহপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৪৬ জন অংশ নিচ্ছে।
চুকনগর দিব্যাপল্লী মাধ্যমিক কেন্দ্রে ৬৭৬ জন অংশ নিচ্ছে। সাহস নোয়াকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬১৪ অংশ নিচ্ছে। ফুলতলা রি-ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭০৬ জন অংশ নিচ্ছে। ক্যান্টেনমেন্ট পাবলিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬০৪ জন অংশ নিচ্ছে। জামিরা বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৯১ জন অংশ নিচ্ছে। শিরোমনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০৬ জন অংশ নিচ্ছে। কাজদিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৯৭ জন অংশ নিচ্ছে। বেলফুলিয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭২৩ জন অংশ নিচ্ছে। শিয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৭৩ জন অংশ নিচ্ছে। দিঘলিয়া এম এ মজিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৬১ জন অংশ নিচ্ছে। সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৭৬ জন অংশ নিচ্ছে। ডুমুরিয়া সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৫৮ জন অংশ নিচ্ছে। শলুয়া পূর্ণচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪০৫জন অংশ নিচ্ছে। কয়রা চান্নির চক এল সি কলেজিয়েট কেন্দ্রে ২৯৬ জন অংশ নিচ্ছে। কয়রা মদিনাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৪৮ জন অংশ নিচ্ছে। আমাদী জায়গীরমহল তকিমউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২১৯ জন অংশ নিচ্ছে। কয়রা ভিকেএসএ গিলাবাড়ি পাঞ্জুগাজী ইউনাইটেড একাডেমী কেন্দ্রে ৩৩৫ জন অংশ নিচ্ছে। কয়রা সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৬২ জন অংশ নিচ্ছে। তেরখাদা ইখড়ি কাটেঙ্গা এফএইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৩৬ জন অংশ নিচ্ছে। দিঘলিয়া হাজি ছায়েমউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৬০ জন অংশ নিচ্ছে এবং গাজিরহাট হাজি নৈমুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২০১জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ১৩টি কেন্দ্রে মধ্যে খুলনা আলিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৩৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। সোনাডাঙ্গা দারুল কুরআন সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে ২৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। শিরোমনি আলীম মাদরাসা কেন্দ্রে ৪২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। রূপসা সামান্তসেনা দারুর সুন্নত সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে ২৮৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। তেরখাদা ইখড়ি দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে ২০৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। ডুমুরিয়া মধুগ্রাম ইসলামিয়া আলীম মাদরাসা কেন্দ্রে ২১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। চুকনগর হাসানিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৪৬৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। চালনা বিল্লালিয়া আলীম মাদরাসা কেন্দ্রে ১২৩ জন অংশ নিচ্ছে। পাইকগাছা আলীম মাদরাসা কেন্দ্রে ১২৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। পাইকগাছা হাবিব নগর এমকেজিএসবি ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ২২৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে ২৮৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। কয়রা মদিনাবাদ দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে ২৫৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে এবং ঘুগরাকাটি ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ২৩১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের আওতায় ১৯টি কেন্দ্রে ১৮৬৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
খুলনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আই সিটি) মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, পরীক্ষা গ্রহণে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কেউ যেন গুজবে কান না দেয়। এ বছর নগরীতে ফাতেমা স্কুল কেন্দ্র বাতির করা হয়েছে। আগামী বছর আরো ১০টি কেন্দ্র বাতিলের প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। কেন্দ্র বেশী হলে জনবল বেশী প্রয়োজন হয়। তিনি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে মনোনিবেশ হওয়ার আহবান জানান।