জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীতে পূর্ব শক্রতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বাবা-মেয়েসহ তিনজন আহত হয়েছে। হামলায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাবা আবু হানিফ মোল্লা (৭০) গুরুতর জখম হয়। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আহত অপর দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মাথায় ১৮টি সেলাই দেওয়া লাগছে। এ ঘটনায় (২৬ এপ্রিল) বুধবার রাতে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে সোনিয়া পারভিন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছে সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন ময়লাপোতা মোড় এলাকার বাসিন্দা মো: নুরুল হকের পুত্র মো: গোলাম রসুল ওরফে উজ্জ্বল (২০), একই এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান এর পুত্র শামীম শেখ (৪৩), আসলাম শেখের পুত্র নয়ন শেখ (২৮) এবং শাহজাহান শেখ এর পুত্র শেখ মিরাজ (৩৯)।
এ ঘটনায় পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামি মো: গোলাম রসুল ওরফে উজ্জ্বলকে অভিযান চালিয়ে আটক করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগরীর ছোট বয়রা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই বিপ্লব দাস বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত এক নম্বর উজ্জ¦লকে ঘটনার দিন রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আটক করি। এছাড়া অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার স্বার্থে আটক উজ্জ্বলকে রিমান্ডের প্রয়োজন হলে আবেদন করা হবে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে সোনাডাঙ্গাথানাধীন ময়লাপোতা মোড় এলাকার বাসিন্দা সোনিয়া পারভিন বাড়ির সামনে এসে আসামি মো: গোলাম রসুল ওরফে উজ্জল গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় সোনিয়া ও তার ছেলে শেখ মাহিনুজ্জামান (১৫) গালিগালাজ করার জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে উজ্জ্বল তাকে ও তার ছেলেক এলাপাতাড়ি কিলঘুষি ও মারতে থাকে। মারামারির এক পর্যায়ে সোনিয়ার পিতা আবু হানিফ মোল্লা হামলা বাধা দিতে আসলে তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে উজ্জ্বল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এ সময়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আহতদের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে আসলে আসামিরা তার গলায় থাকা এক ভরি স্বর্নের চেইন নিয়ে যায়। ওই দিন রাতে আহত বৃদ্ধা আবু হানিফ মোল্লাকে গুরুতর অবস্থায় খুমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার খুমেক হাসপাতালে আহত বাবা আবু হানিফ মোল্লার মেয়ে সোনিয়া পারভিন জানান, ঘটনার দিন রাতে আমার বাড়ির সামনে উজ্জল গালিগালাজ করতে থাকে। গালিগালাজ করার কারন জানতে চাইলে তাকে ও তার ছেলে এলোপাতাড়িভাবে কুলঘুষি মারতে থাকে। এসময় আমার বাবা মারপিট ঠেকাতে আসলে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শামীম শেখ ও নয়ন শেখের হুকুমে উজ্জ¦ল আমার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। সোনিয়া পারভিন বলেন, এর আগে উল্লিখিত আসামিরা বিভিন্ন সময়ে আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে। এমনকি আমাকে ধর্ষন ও খুনের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি আমি সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করছি। সোনিয়া পারভিন বলেন, আমি ও আমার পরিবারকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতিছে। কারণ সব আসামিরা গ্রেফতার না হলে যে কোন সময়ে আবারও আমার উপর হামলা করতে পারে।