মোঃ এজাজ আলী : ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন খুলনার কয়রাসহ বেশকয়েকটি উপজেলার কৃষকরা। ঝড়টি কেড়ে নিয়েচে কৃষকের বিভিন্ন স্বপ্নের ফসল। বিশেষ করে রোপা আমন ধানের বেশি ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে ও ঝড়ো হাওয়ায় মাটিতে পড়ে এসব ফসলের বেশি ক্ষতি হয়েছে। ফলে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের তীব্রতায় অনেক জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এ বছর অনেক কৃষক বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা করছেন। খুলনা জেলা কৃষিসম্প্রসারণ সূত্রে জানা যায়, জেলায় দুই হাজার ৫২৬ হেক্টর আমন, ১৬ হেক্টর সরিষা, ২ হেক্টর আলু, ৩ হেক্টর পেঁয়াজ, এক হেক্টর গম, এক হেক্টও রসুন, ২৮ হেক্টও অন্যান্য সব্জি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়রা উপজেলায়। কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর কয়রা গ্রামের কৃষক হাবিব জানান, এ বছর তিনি ৩ বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। অধিকাংশ জমিতে পানি জমে ধান নষ্ট হচ্ছে। কয়রার কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জানান, অনেকেই দুই-তিন দিন আগে ধান কেটে শুকানোর জন্য রাখেন। তাদেও ধান পানিতে জমে নষ্ট হয়ে গেছে। এয়াড়া বহু কৃষকের ধান বাতাসে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। জমিতে পানি জমে থাকায় ধান নষ্ট হচ্ছে। ভাল ফলন হলেও শেষ মুহূর্তে এমন ক্ষতির মুখে পড়তে হবে এাঁ তারা কল্পনাও করেননি। কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বছর কয়রায় ১৬ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়। এরমধ্যে এক হাজার জমির ফসল কাটা হয়েছে। দুই হাজার ৫০০ হেক্টও জমির ধান পড়ে গেছে। আর দুই হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। বিলের পানি সরানোর ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি, মাটিতে পড়ে যাওয়া ধানে তেমন ক্ষতি হবে না। খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারন দফতরের উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, স্থানীয়ভাবে ও উপজেলা পরিষদেও সহযোগীতায় নালা খনন করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীতে বৃষ্টি না হলে ক্ষতির পরিমান অনেকাংশে কমে আসবে।