
হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া : উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর স্বল্প জীবনকাল ও বিনামূল্যে সার ভিজে আমন ধানের কৃষি বিপ্লব এসেছে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায়। ফলে আমন ধানের নবান্নের বাম্পার ফলনারা আশা করছে এখানকার স্থানীয় কৃষকরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মোতাবে কে উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৭২৫হেক্টর জমিতে। বিনামূল্যে সার্ভিস উন্নত প্রযুক্তি ও কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পরামর্শই স্থানীয় কৃষকরা আবাদ করেছে লক্ষ্যমাত্রা থেকেও প্রায় আড়াইশো হেক্টর জমি বেশি। যেখানে আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৯ ৫০ হেক্টর জমিতে।
হেমন্তের কুয়াশা ঢাকা সোমবার সকালে নবান্ন উৎসবের ধান কতনে মেতেছিল একদল কৃষক। কৃষকের মুখে হাঁসি আর কৃষানির ধান কুঠার গহনায় কৃষকের বাড়ি যেন এক আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে।
বর্ধমান জনশক্তির খাদ্যের ঘাটতিপূর্ণ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সরকারের দোয়া বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয় ৭ শত কৃষকের মাঝে।
বিরি ৭০,৭১,৭৫,৮৭,৯০,৯২,৯৩ ও ১০৩ জাতের স্বল্প মেয়াদকাল উন্নত জাতের বীজের আমন ধানের চাষ করে উপজেলার কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছে। এরই মাঝে প্রায় ৩৫ শতাংশ কৃষকরা তাদের ধান ঘরে উঠাতে পেরেছে। যা বিঘাপতির ফলন হয়েছে বিশ থেকে বাইশ মন করে আমন ধান।
কথা হচ্ছিল গোপগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক মাসুদ প্রামাণিকের সাথে তিনি বললেন উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে বিনামূল্যের পাঁচ কেজি হাইব্রিড ধান বিরি -৭৫ ও রাসায়নিক সার এক বিঘা জমিতে আবাদ করি। উন্নত জাতের এই ধান আবাদ করে আমি ২২ বোন ধান পেয়েছি এক বিঘা জমি থেকে।
জানিপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের কৃষক আকামত আলী জানালেন হাইব্রিড ধান ৮৭ আবাদ করে ২০ মন ধন পেয়েছি।সেই সাথে স্বল্প মেয়াদী ১১০ দিনের মধ্যে ধান কেটে ওই জমিতে আবার সরিষা বীজের আবাদ করেছি অর্থাৎ অল্প সময়ের মধ্যে ধান টা কাটতে পেরে বাড়তি আরেকটি ফসলের আবাদ করতে পারলাম।
পৌরসভার বি মির্জাপুর গ্রামের কৃষক মইনুদ্দিন ও রফিকুল ইসলাম বললেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে বিনামূল্যে সার্ভিস ও পরামর্শ পেয়ে এবারে আমাদের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে ওই জমিতে এখন আবার খসারি ডালের আবাদ করব।
হাশিমপুর গ্রামের কৃষক সেলিম শেখ বললেন সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে কৃষি প্রযুক্তি নির্ভর আমাদের উন্নত প্রশিক্ষণে আমরা কৃষক এখন আধুনিক হয়েছি আবন্ধানের বাম্পার ফলন পেয়ে আমরাও খুশি হয়েছি।
শোমসপুর ইউনিয়নের কৃষক এনামুল হক বললেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সবার মতন আলোকপাত রোমান পেরেক এছাড়াও বিভিন্ন উন্নতি প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৮৭ জাতের আমন ধানের বীজ বপন করে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে আমাদের। ওই জমিতেই আমরা সরিষার আবাদ করতে পারবো বলে এখন মনে করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা বললেন, পূর্ব থেকে উপজেলার সকল কৃষকদেরকে বিভিন্ন সময় উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণ উন্নত জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার বিনামূল্যে বিতরণ সহ উপজেলার প্রত্যেকটি প্রান্তে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এবছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক ধান কেটে এখন হাসিখুশি বলে বাড়িতে ফিরবে। কৃষি বিভাগের এমন ধারাবাহিকতায় স্থানীয় কৃষকরা আনন্দিত ও উচ্চসিত।