জন্মভূমি ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে শনিবার (৩১ আগস্ট) দিনভর ইসরায়েলি বর্বর হামলায় এক পরিবারের নয় সদস্য আরও ৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার ৭০০ জনে পৌঁছে গেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। খবর ও আনাদোলুর।
পোালিও টিকা কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই শনিবার ভোরে গাজার মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকার বাড়িগুলোতে বিমান হামলার পাশাপাশি ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। পরে তারা গাজা সিটির আরেকটি হাসপাতালে হামলা চালায়।
বলছে, কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এসব হামলা চালানো হয়েছে। লোকজন তখনও তাদের বাড়িতে ছিলেন এবং শিশুরা ঘুমিয়ে ছিল। এসব হামলার একটিতে এক পরিবারের নয় সদস্য ঘটনাস্থলেই নিহত ও আরও বেশ কয়েকজন আহত হন।
৩ শরণার্থী শিবিরেও হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলাকে লক্ষ্য ঠিক করে চালানো হামলা বলে বর্ণনা করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। কিন্তু হাসপাতালে আসা হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছেন, আল নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের পৃথক হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন, এদের মধ্যে এক পরিবারের নয় সদস্য রয়েছেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।