
জন্মভূমি ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বোমা হামলার চেয়েও বেশি প্রাণহানি হতে পারে বিভিন্ন রোগে। এমন সতর্ক বার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্ব সংস্থাটির মুখপাত্র মারগারেট হ্যারিস জানিয়েছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটির বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো না হলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় যত মানুষ নিহত হয়েছেন তার চেয়েও বেশি মৃত্যু হতে পারে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়া রোগে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জেনেভায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সারিয়ে তোলা না গেলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় যত মানুষ নিহত হয়েছেন, তার চেয়েও বেশি মৃত্যু হতে পারে সেখানে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন রোগে।’
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত প্রায় দুই মাসে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই শিশু। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চিরদিনের জন্যে হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা গাজায় নির্বিচারে চালানো হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন। এদিকে, মার্কিন অভিনেত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে হোয়াইট হাউসের সামনে পাঁচদিনের অনশনে বসেছেন রাজ্যের আইনপ্রণেতা ও ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মীরা। স্থানীয় সময় সোমবার এক নিউজ কনফারেন্সে অধিকারকর্মীরা গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইসরায়েলকে সহযোগিতার জন্য জো বাইডেনকে অভিযুক্ত করেন। ওই সময় তারা গাজায় দ্রুত যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ওই হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়, সেই সঙ্গে জিম্মি করা হয় ২৪০ জনকে। এরপরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি।