
চিতলমারী প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারীতে মশার যন্ত্রনা বেড়ে গেছে। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।ডেঙ্গুর আশংকা করছেন অনেকে। এ ক্ষেত্রে এখনও তেমন কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। তবে উপজেলা পরিষদের সামনের ঝোপ ঝাড় ও ড্রেন পরিস্কার পরিচ্্ছন্ন করতে দেখা গেছে। এলাকা বাসি জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। মশার প্রজনন রোধ করতে না পারার কারনে মশার বংশবিস্তার বেশি হচ্ছে বলে তাদের ধারনা।
স্থানীয়রা জানান, এ মৌশুমে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে বিষয়টি সবাই জানেন। তবুও এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছেনা। সন্ধ্যা হলেই মশার কয়েল না জ্বালালে টেকা দায় হয়ে পড়ে বলে অনেকে জানান,এছাড়া স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাতে মশার কারণে ঠিকমতো লেখা পড়া করতে পারছেনা। পড়ার টেবিলে কয়েল জ্বালিয়ে তাদের পড়া লেখা করতে হচ্ছে। চিতলমারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকপ্লনা কর্মকর্তা ডাঃ মামুন হাসান জানান, উপজেলায় এ মৌশুমে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া যানি। তবে ডেঙ্গু রোগীর রাখার জন্য আলাদা ওয়ার্ড,কেবিন, বিছানা ও মশারী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, মশার প্রজনন ঠেকাতে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদকে মশার নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়াা হয়েছে। ইতো মধ্যে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্্রসহ বিভিন্ন স্থানে ঝোপ ছাড় ও ড্রেন পরিস্কার পরিছন্নর কাজ শুরু হয়েছে এবং মানুষের ঘর বাড়ি ও আশেপাশে পরিস্কার রাখতে প্রচারনা করা হচ্ছে মশা নিধনে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি।