যশোর প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছা উপজেলার দিঘলসিংহা গ্রামের বিএনপি কর্মী রতন মৃধাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে থানার তৎকালীন ওসি খন্দকার শামীম আহমেদসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার নিহত রতন মৃধার মা ফরিদা বেগম মামলাটি করেছেন। তিনি একই গ্রামের মো. আবু বক্কার সিদ্দিকের স্ত্রী।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, চৌগাছা থানা পুলিশের তৎকালীন এসআই ফাজেল, এএসআই নাসির ও এএসআই জসিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ । সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহম্মেদ বিষয়টি আমলে নিয়ে চৌগাছা থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা এবং মামলা হলে তা কি অবস্থায় রয়েছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চৌগাছা থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
মোছা. ফরিদা বেগম মামলায় উল্লেখ করেছেন, তার ছেলে রতন মৃধা বিএনপি কর্মী ছিলেন। চৌগাছায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিলো। ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই রাত ১টার দিকে আসামি তৎকালীন ওসি খন্দকার শামীম আহমেদের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা দিঘলসিংহা গ্রামে তাদের বাড়িতে এসে ছেলে রতন মৃধাকে জোর করে ধরে নিয়ে যান। এছাড়া ঘরের ওয়্যারড্রবে থাকা নগদ ২০ লাখ টাকা লুট করে নেন ওসি খন্দকার শামীম আহমেদ। এসময় ফরিদা বেগম তার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে কাকুতি মিনতি করলেও তারা রতন মৃধাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থানায় ছুটে যান ফরিদা বেগম। কিন্তু তিনি থানায় গিয়ে তার ছেলেকে খুঁজে পাননি। পরদিন সকাল ৭টার দিকে তিনি লোকমুখে জানতে পারেন, চৌগাছার কয়ারপাড়া নামক স্থানে মেইন সড়কের ওপর মাথায় গুলিবিদ্ধ একটি লাশ পড়ে আছে। এ খবর পেয়ে ফরিদা বেগম সেখানে গিয়ে লাশটি তার ছেলে রতন মৃধার বলে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ওই সময় ওসি খন্দকার শামীম হোসেন তাকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, এ বিষয়ে মামলা করতে গেলে বাদীর স্বামী ও মেয়েকে গুলি করে মেরে হত্যা করা হবে। ভয়ে তিনি মামলা করার সাহস পাননি। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তিনি আদালতে মামলা করেছেন।