জাহাঙ্গীর আলম, চৌগাছা :“ঠুঙ্গাা আইনে দে’ দড়া আইনে দে “বাইল ধারা খান কই,ঠিলের গলাই কানাচ লাগা বেলা গেল ওই, বালির চুনো আাগাই আনোই দে দাও ধারা দেবো, ঠিলে ধুয়ে দে বউ গাছ কাটতে যাব” আবহমান গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় এ অঞ্চলিক গানের কথায় গাছির ব্যস্তবে
লক্ষ্য করা হচ্ছে। যশোরের চৌগাছায় খেজুর গাছের মধ্যে “যশোরের যশ খেজুরের রস ‘ খেজুরের শুধু কথায় সীমাবদ্ধ নয়, বাস্তবেও রয়েছে সুনাম।গ্রামঞ্চল ইতিমধ্যে শীতের কিছুটা হলেও শীতেরআমেজ শুরু হয়েছে। ‘শীতের আগমন শুরুতেই খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে গাছিরা। সাধারণত এ অঞ্চলের মানুষ শীতকালীন সময়ে অর্থনৈতিক ভাবে নির্ভরশীল খেজুর গাছের রস ও গুড়ের উপর। বর্তমান খেজুর গাছ বিলুপ্তের পথে যা আছে সেগুলো এখন রস সংগ্রহ জন্য প্রস্তুত করছেন গাছিরা।
অল্প সংখ্যার খেজুর গাছ আছে গাছিরা সেই গাছ গুলো ভালো ভাবে পরিচর্যা করে সেই গাছ থেকে রস সংগ্রহ করছে। এই উপজেলায় খেজুরের গুর ও পাটালি তৈরি হয় এই এলাকার মানুষের চাহিদা মিটাতে পারে না। খেজুর রস দিয়ে পিঠা ও পায়েস খুবই সুস্বাদু । খেজুর গাছের রস-গুড় ও পাটালি ঐতিহ্য ধরে রাখার আহবান জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা বলেন এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমান খেজুর গাছের বাগান ছিল। বর্তমানে খেজুর গাছ অনেক কমে গেছে । এ অঞ্চলের সুনাম ধরে রাখার জন্য খেজুরগাছিদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে উন্নত মানের রসও গুড় সংগ্রহের উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এর আগে ৭৬ একর সরকারি খাস জমিতে খেজুর গাছের চারা রোপন ও ১এক লক্ষ বীজ থেকে চারা রোপন করা হয়। প্রতি বছরে খেজুরের গুড় ও পাটালির ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য ৩ দিন ব্যাপী মেলা আয়োজন করা হয়। যেখানে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গুড় ও পাটালি কিনার জন্য লোক আসেন। বর্তমানে খেজুর গাছিরা গুড় ও পাটালি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, ৩থেকে ৫ পাঁচ বছরের ভিতরে খেজুরের গুড় ও পাটালির ঐতিহ্য ফিরে আসবে এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে ও রপ্তানি করতে পারবে।