চৌগাছা( যশোর)প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছা উপজেলার মমশোমপুর (পশ্চিমপাড়া) গ্রিক্তা বেগম নামে এক গৃহবধুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে তার স্বামী-সতিন ও সৎ ছেলে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মশোমপুর (পশ্চিমে পাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এলাকার লোকজন জানান পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। সতীন ও তার ছেলে হত্যা করেছে রিক্তা বেগমকে।নিহত রিক্তা বেগম মশোমপুর (পশ্চিমে পাড়া) কৃষক রোকনুজ্জামান দ্বিতীয় স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান রিক্তা বেগম এর গদাধরপুর গ্রামের প্রবাসী আজিজুর রহমান সাথে বিয়ে হয়েছিল , আগের পক্ষে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে আছে। ৬ মাস আগে আজিজুর রহমানের তালাক দিয়ে কৃষক রোকনুজ্জানান সাথে পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে রিক্তা বেগমের বিয়ে হয়। রিক্তা বেগবেরআরেক ঘর ভেঙে রোকনুজ্জামান সাথে সংসার শুরু করে। বিষয়টি সতিন বিলকিস ও তার ছেলে বরকত মেনে নিতে পারেনা। আজ সকালে রোকন আলী ও তার প্রথম স্ত্রী বাড়ির বাইরে গেলে বরকত তার মা সৎ মা রিক্তা বেগমকে গলা কেটে হত্যা করে। রক্তমাখা অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবেশীরা তাকে দেখে ফেলে। এরপর তারা এগিয়ে গিয়ে রিক্তাকে তার ঘরের মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যেয়ে তদন্ত শুরু করেন। সেখানে যেয়ে দেখেন রিক্তার রক্তমাখা মরদেহ পরে আছে। গলায় একাধিক কুপের চিহ্ন পাওয়া যায়। তিনি আরও জানান স্বামী রোকনুরজ্জামানপর , তার প্রথম স্ত্রী বিলকিজ ও ছেলেরা পালিয়ে গিয়েছে গেছে। তাদের ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে। লাস্ট টি ময়নাতনদের জন্য ২৫৯ শয্যা যশোর জেনারেল পাঠানোর জন্য প্রস্তুত চলছে।