সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : দুর্যোগ আসে-যায়, কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই যেন থামতেই চায় না। প্রকৃতির রোষে বার বার ‘উদ্বাস্তু’ হওয়াই যেন নিয়তি খুলনার দাকোপের জালিয়াখালী গ্রামের আব্দুল খালেকের। কখনও আইলা, কখনও আম্পান, কখনও বা ইয়াস- ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বার বার ঘরহারা হয়েছেন। খালেকের আক্ষেপ, প্রকৃতিই সর্বস্বান্ত করে দিচ্ছে তাদের। সেই সঙ্গে শেষ হয়ে গেল তিন ছেলে-মেয়ের শৈশব। অভাবের তাড়নায় খালেকের ১০-১৫ বছর বয়সী তিন সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে এখন খুলনায় হোটেলে চাকরি করেন।
চলতি বছরে উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামের চার উপজেলার দশটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। রাজহারহাটের গতিয়াশাম গ্রামের রেশমা আক্তার বলেন, ‘স্কুল ভাঙ্গি গেইল। এলা ছোয়াপোয়ার কী হবে? হামার তাও এটি-ওটি এদন করি চলবে, কিন্তু আর ছোয়ার পড়ালেখার কী হবে?’
পনেরো বছর বয়সেই জরায়ুর সমস্যা দেখা দেয় সাতক্ষীরার গাবুরা ইউনিয়নের খৈলপতুয়া গ্রামের বাসিন্দা হোসনে আরার; সঙ্গে চর্মরোগ তো ছিলই। এই অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে কাটে তার তেত্রিশটি বছর। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নেন কয়েকবার। তবুও মেলেনি কোনো প্রতিকার। সম্প্রতি কয়েক দফা পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লবণাক্ত পানির কারণেই তার এসব সমস্যা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে জরায়ু কেটে ফেলে দিতে হবে তাকে।
হোসনে আরা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘ছোট বয়স থাইক্কাই গাইনি সমস্যায় ভুগছি। ডাক্তারদের কাছে গেছিলাম। তারা বললেন, লবণাক্ত পানি যেন ব্যবহার না করি, কুনু সময় যেন না খাই। কিন্তু এই পানি ছাড়া আমাদের গ্রামে তো অন্য কোনো উপায় নাই। এখন ডাক্তার বলছেন, জরায়ু কাইটা ফালাই দিতে হবে।’
শুধু হোসনে আরা নন, লবণাক্ত পানির কারণে সাতক্ষীরার গাবুরা ইউনিয়নসহ দেশের উপকূলীয় এলাকার শিশুরা চর্মরোগ, লিউকোরিয়া, রক্তশূন্যতা, আমাশয়, পুষ্টিহীনতাসহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগেও ভুগছে। অনেক শিশু ছোট থেকেই লম্বা হয় না। মাথা ও পেট মোটা হয়ে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতিবৃষ্টি-অসময়ে বৃষ্টি, অতি গরম-দীর্ঘসময় ধরে উচ্চ তাপমাত্রা, তীব্র ঠান্ডা এবং বজ্রপাতের মতো দুর্যোগ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পূর্বের তুলনায় এখন শিশুরা বেশি অসুস্থ থাকছে। আবার পরিবারের সঙ্গে উদ্বাস্তু হয়ে বহু শিশু অন্যত্র পাড়ি দিচ্ছে। সেখানেও তারা চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে। সব মিলিয়ে শিশুদের বড় একটি সংখ্যা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হতে পারে। ফলে সরকারে জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার শিশুদের জন্য আলাদা পরিকল্পনা ও বরাদ্দ রাখতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে জলবায়ু ফান্ডের ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা এখনও বন্ধ হয়নি। বেশ কয়েকটি প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতি আগের চেয়ে বেড়েছে। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
ইউনিসেফের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিধ্বংসী বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও অন্যান্য পরিবেশগত বিপর্যয়গুলো বাংলাদেশে ১ কোটি ৯০ লাখের বেশি শিশুর জীবন ও ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ফেলছে। পরিবার, সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে ইউনিসেফ বলছে, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ও খরার মতো বিরূপ আবহাওয়াজনিত ঘটনার সম্মিলন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া ও নোনাপানির অনুপ্রবেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত দীর্ঘমেয়াদি ঘটনাসমূহ পরিবারগুলোকে আরও বেশি দারিদ্র্য ও স্থানচ্যুতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এতে শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ, যা দরিদ্র বাংলাদেশিদের তাদের ঘরবাড়ি ও কমিউনিটি ফেলে অন্যত্র নতুন করে জীবন শুরু করার চেষ্টার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অনেকে ঢাকা ও অন্য বড় শহরগুলোতে যাচ্ছে, যেখানে শিশুদের বিপজ্জনক শ্রম বা শিশুবিয়ের ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। গবেষণার কথা উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ৬০ লাখ জলবায়ুজনিত অভিবাসী রয়েছে, যে সংখ্যাটি ২০৫০ সালের মধ্যে বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যখন গ্রামাঞ্চলের পরিবারগুলো তাদের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়, তখন শিশুরা তাদের শৈশব হারায়। শহরে তারা বিপদ ও বঞ্চনার সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি শোষণ ও নিগ্রহের শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বাইরে কাজে যেতে চাপের মুখে পড়ে।
মেঘনা নদী ভেঙে ঘরবাড়ি ভেসে গেছে রুমানার। এরপর স্বামী আলী আকবর, মেয়ে সানজিদা (৩) এবং ছেলে শাহানকে নিয়ে (৯) ঢাকার চলন্তিকা বস্তিতে আসেন তিনি। রুমা বলেন, যদিও এখানে জীবনধারণের ব্যয় নির্বাহ করতে আমাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে তবুও আমরা একটু শুকনা মাটিতে পা রাখতে পারছি।
পানির উপর বাঁশের খুটি ও কাঠ দিয়ে বানানো একটি ছোট রান্নাঘর অন্য ১০টি পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হয় রুমাকে। তিনি বলেন, আমরা প্রায় প্রতিদিনই মসুর ডাল দিয়ে ভাত খাই, খুব কম সময় মাছ-মাংস খেতে পারি, ছেলে শাহান অপুষ্টিতে ভুগছে। এই বস্তিতে নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যকর টয়লেটের কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানে ঠিকমত বিদ্যুৎও থাকে না। ইঁদুর আর পোকামাকড়ের যন্ত্রণায় জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে জানিয়ে এনিয়ে খেদ প্রকাশ করেন রুমা।
বন্যা এবং নদী ভাঙনের কারণে অনেক পরিবারকে শহরের বস্তিতে গিয়ে গাদাগাদি, ঠাসাঠাসি করে বসবাস করতে হচ্ছে৷ সেখানে তারা স্বাস্থ্যকর খাবার, শিক্ষা, পর্যাপ্ত স্বাস্থসেবা, স্যানিটেশন এবং নিরাপদ খাবার পানির সংকটে থাকেন৷ এসব বস্তিতে বসবাকারী শিশুরা অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে। সেখানে শিশুশ্রম, বাল্যবিয়ে, সহিংসতা ছাড়াও শিশুদের উপর বিভিন্ন ধরনের নিপীড়নের শিকার হতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কম বয়সীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে; অন্ধকার এই যাত্রায় নিরাপদ থাকছে না গর্ভের শিশুও। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ধাক্কা সামলাতে সরকার প্রশমন আর অভিযোজনের নানামুখী পরিকল্পনা নিয়েছে। তার সঙ্গে শিশুদের জন্যও বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এনভায়রমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন- এসডো’র সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন যেভাবে সামাজিক সমস্যাগুলোকে প্রকট করছে তাতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা। বাস্তুচ্যুত হলে জীবিকার জন্য বাধ্য হয়ে একটা শিশুকে কাজে ঢুকতে হচ্ছে। পরিবারের সবাই মিলে আয় করেই চলার চেষ্টা করে। একটা মেয়েকে তখন পরিবারে বোঝা মনে করা হয়, তাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্র ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআরের উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন মনে করেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ে উদ্যোগ নিয়ে পরিবেশ বিপর্যয় থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখা যাবে না। সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়ে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। একা এটা করা সম্ভব না।
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্ট পার্টিসিপেটরি অ্যাফরেস্টেশন অ্যান্ড রিফরেস্টেশন প্রজেক্ট (সিআরপিএআরপি) নিয়েছে সরকার। এতে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু সহিষ্ণু প্রজাতি গাছ দিয়ে বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু জলবায়ুর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে বনায়ন প্রকল্পে উপকারভোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে প্রভাবশালীদের নাম। ভোলার চর কুকরিমুকরি, পটুয়াখালীর গঙ্গামতি, চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের করেরহাট ও বালুখালি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বরদুয়ারা ও ডলু এবং কপবাজার উত্তর বন বিভাগের অধীন মানিকপুর, নাপিতখালি ও কচ্চপিয়াসহ বন অধিদফতরের আরও কিছু বীট ও রেঞ্জ অফিস সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে গেছে, উপকারভোগীদের একটি বড় অংশ আর্থিকভাবে সচ্ছল। এদের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ কয়েক একর জমির মালিকও রয়েছেন।
খুলনাঞ্চলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অধীন নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গৃহিত তিনটি প্রকল্পের দু’টি কাজ শেষ হতেই ভাঙতে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট এলাকার নদীর তীর। ২৩ কোটি টাকার এ প্রকল্পে চরম অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে একাধিক সূত্রের অভিযোগ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
পাউবো সূত্র জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ডের আওতায় খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায় দু’টি ও দাকোপ উপজেলায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এরমধ্যে রূপসা উপজেলার রামনগর ও রহিমনগর এলাকার আঠারবেকী নদীর তীর সংলগ্ন এলাকা সংরক্ষণে এক কিলোমিটারব্যাপী সংস্কার কাজ ও ব্লক স্থাপন কাজ হাতে নেয় পাউবো। এ কাজের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় ১৮ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে হাতে নেয়া এ প্রকল্প শেষ হয় ২০১৬ সালের জুন মাসে। কাজ শেষের ৬ মাস যেতে না যেতেই ব্লকগুলোতে ফাটল দেখা দেয়। স্থানীয় এলাকাবাসী কিছু স্থানে বালুর বস্তা দিয়ে ফাটলরোধ করার চেষ্টা করছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ‘বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন অর্থায়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ৭ প্রকল্পে বরাদ্দের ৬৮ কোটি ১৭ লাখ টাকার মধ্যে ৩৭ কোটি ৭ লাখ টাকাই আত্মসাৎ করা হয়েছে। আত্মসাৎকৃত টাকার পরিমাণ মোট অর্থের ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
টিআইবি বলছে, দুর্নীতিতে বিভিন্নভাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর যোগসাজশ রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পগুলো রাজনৈতিক সুপারিশের ভিত্তিতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
টিআইবির মতে, ৭টি প্রকল্পের প্রতিটির ক্ষেত্রেই দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র প্রকটভাবে উঠে এসেছে। জনগণের চাহিদা, সুবিধা ও প্রকল্পের যথার্থতা বাস্তবায়নের উপযোগী স্থান বিবেচনায় না নিয়েই এগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছে টিআইবি।
টিআইবির প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জলবায়ু সংক্রান্ত প্রকল্পগুলোয় একদিকে আর্থিক অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে প্রশমন কার্যক্রমের বাস্তব কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নীতি ও আইন লপিঘত হওয়া সত্ত্বেও জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপও দেখা যাচ্ছে না।
তবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু তহবিলের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় ও বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো নিয়মিত পরিবীক্ষণ করে থাকে। এছাড়া ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফ্রান্ডের অর্থায়ন কিস্তিতে দেওয়া হয়। এমনকি টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশের আলোকে প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়। তাই জলবায়ু ঝুঁকি নিরসনে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে এটি ঢালাওভাবে বলা যাবে না।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতি, সুশাসনের অভাব ও দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। যেসব প্রকল্প বাস্তবানাধীন, সেগুলো সক্ষমতা, প্রকল্পের প্রযোজ্যতা, জন অংশগ্রহণের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে প্রকল্পের চাহিদা বা গুরুত্ব বিবেচনা না করে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রণীত হচ্ছে এবং বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর ফলে একদিকে আর্থিক অপচয়, অন্যদিকে প্রশমনের বাস্তবিক কোনো সুফল আমরা পাচ্ছি না। বরং একশ্রেণির প্রভাবশালী মহল অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে লাভবান হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে শৈশব হারাচ্ছে উপকূলের শিশু

Leave a comment