জন্মভূমি রিপোর্ট : ঝিনাইদহে পাচারের সময় অবৈধ স্বর্ণ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। সেসময় ছিনতাইকারীদের পিটুনিতে আহত হয়েছে একজন। পরে সেই স্বর্ণ আটক জব্দ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় মালিককে। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শহরের স্বর্ণাকার পট্টির গিনি হাউজের কর্মচারী মিঠুন একটি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে একটি কার্টুন নিয়ে দোকানে ফিরছিলো। পথে কেসি কলেজ গলিতে পৌঁছালে ৬ জন ছিনতাইকারী ওই কার্টুন ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। কর্মচারী মিঠুনকে পিটিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় ঝিনাইদহ সদর থানার এক এসআই সেখানে পৌঁছিয়ে মিঠুনকে উদ্ধার করে। পুলিশ দেখে মোটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। পরে পুলিশ এসে ওই কার্টুন খুলে উদ্ধার করে ১৮১ ভরি স্বর্ণালংকার। সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ওই স্বর্ণালংকার জব্দ ও গিনি হাউজের মালিক অনিমেষ মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
ঝিনাইদহ সদর থানার এস আই জিয়া বলেন, আমি এসে দেখি মিঠুনকে মারধর করে কার্টুনটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি এসে তাদের আটক করার চেষ্টা করি। স্থানীয়রা কেউ এগিয়ে না আসায় ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আমি আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করি।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান বলেন, দুটি ঘটনা ঘটেছে। একটি ছিনতাইয়ের আর অন্যটি সোনা পাচার। আমরা ছিনতাইকারীদের আটকের চেষ্টা করছি। আর যেহেতু কুরিয়ার সার্ভিসে করে সোনা আনা হচ্ছিলো তাই আমরা র্স্বণালংকার আটক করেছি। এর মালিক অনিমেষ মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।