ঝিনাইদহ : বিশ্বায়নের যুগে দেশের উন্নয়নে মেধার বিকল্প নেই,মেধাবীরাই সমাজকে নেতৃত্ব দেবে। “আজকের মেধাবীরাই নেতৃত্ব দেবে আগামীর বাংলাদেশের। জেলা প্রশাসক মেধাবী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,যে স্বপ্ন তোমাদের ঘুমাতে দেয় না, সেটিই আসল স্বপ্ন। জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে তোমাদের ভালো স্বপ্ন দেখতে হবে। মিথ্যা, মুখস্থ ও মাদককে না বলতে হবে। পাঠ্যপুস্তকের বাইরের বই বেশি বেশি পড়তে হবে। স্মার্টফোনের ভালোটা গ্রহণ করে খারাপটা পরিত্যাগ করতে হবে। তোমরা তরুণেরা এগিয়ে গেলে দেশও এগিয়ে যাবে। ঝিনাইদহ সরকারি কেশবচন্দ্র কলেজ,কথন সাংস্কৃতিক সংসদ কসাসের উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য জিপিএ-৫ পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম এসব কথা বলেন। স্বপ্ন সাহস পজ্ঞ্রা নিয়ে আগামীর পথ চলবো,অপসাংস্কৃতির বেড়াজাল ভেঙে সোনার বাংলা গড়বো এই শ্লোগানে এবং ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র জননেতা আলহাজ্ব সাইদুল করিম মিন্টু’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও কথন সাংস্কৃতিক সংসদ কসাস বাস্তবায়ন সহযোগীতায় ঝিনাইদহে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন সাইদুল করিম মিন্টু। বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নবগঙ্গা ওয়াকওয়ে পৌর ইকোপার্কের মুক্তমন্ছে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কসাসের উদ্যোগে ৭০০ জন শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহ যোগাতে প্রতিবছরের মত সাইদুল করিম মিন্টু’র পৃষ্ঠপোষকতায় এবারও সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সোনার বাংলা গড়ার শপথ নিয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করা হয়। কসাসের স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম। সাইদুল করিম মিন্টু’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,সরকারি কেশবচন্দ্র কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.বিএম রেজাউল করিম, সরকারি কেশবচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অশোক কুমার মৌলিক,ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র মোঃ কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল। প্রধান আলোচক ছিলেন, সরকারি কেশবচন্দ্র কলেজের বাংলা বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মনোজ কান্তি মন্ডল এবং আলোচক ছিলেন,আই.এইচ.টি ঝিনাইদহ সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ শামীম কবির ও আলোচক ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ও সরকারি কৌশুলি জি.পি অ্যাড. বিকাশ কুমার ঘোষ। সভাপতির বক্তব্যে সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, ‘ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখলে জীবনে কখনো লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। যে স্বপ্ন ঘুমাতে দেয় না, সেটিই আসল স্বপ্ন। তোমাদের ভালো স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভালো পড়াশোনার বিকল্প নেই। আবার শুধু মেধাবী শিক্ষার্থী হলেই চলবে না, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন সমাজ এবং সোনার বাংলা গড়তে ভালো মানুষও হতে হবে। ’মিন্টু আরো বলেন, ‘এখন স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট থাকলে পুরো পৃথিবী দেখা যায়। স্মার্টফোনের ভালো-খারাপের ব্যবহার আছে। তোমাদের স্মার্টফোনের ভালোটা নিতে হবে আর খারাপটা পরিহার করতে হবে। তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবে। নিজে একা শুধু এগিয়ে গেলে চলবে না, পিছিয়ে পড়াদের এগিয়ে নিতে হবে। ’সকাল সাড়ে নয়টা থেকেই জেলার মেধাবী শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা সংবর্ধনাস্থলে ছুটে আসেন। সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। এ সময় উপস্থিত প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রীত অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থী অভিভাবকেরা সবাই দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান। কসাসের সাধারন সম্পাদক ইসরাত জাহান মৌ’র সঞ্চালনে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতি সাইদুল করিম মিন্টু। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও মানবিকনেতা সাইদুল করিম মিন্টু’র পৃষ্ঠপোষকতায় কথন সাংস্কৃতিক সংসদ কসাস সমাজ বিনির্মাণে দীর্ঘ ১৩বছর ধরে তারা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আজকের এই মেধাবী সংবর্ধনাও তার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। অনুষ্ঠানের আগে একটি শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে মিলিত হয়।