জন্মভূমি ডেস্ক : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে সদ্য বদলী হওয়া ডা. শর্মী রায়কে যোগদান না করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। রোববার (১৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে জড়ো হয়ে তারা ডা. শর্মী রায়কে যোগদান করতে না দেওয়ার জন্য দাবী জানান। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন তালুকদারের সাথে দেখা করলে তিনি উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানোর আশ্বাস দেন।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর দুপুর ৩ টায় সাধারন শিক্ষার্থী ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু স্টাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্ত্বরে চিতলমারীতে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) হিসেবে ডাক্তার শর্মী রায়কে যোগদানের না করার জন্য মিটিং-মিছিল ও মানবন্ধন করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার মামুন হাসানের বিরুদ্ধে ২০ আগস্ট দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ হয়। তখন কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের দাবী মেনে নিয়ে মো. মামুন হাসানকে চিতলমারী থেকে প্রত্যাহার করেন। সম্প্রতি ডা. মামুন হাসানকে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদটি দীর্ঘ তিন মাস শূণ্য রয়েছে। কর্তৃপক্ষ সেই শূণ্য পদে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক শর্মী রায়কে পদায়ন করেছেন।
চিতলমারীর বাসিন্দা আ. আজিজ, মো. মামুন ও মো. কাওসার আলীসহ অনেকে বলেন, ‘ডা. শর্মী রায়ের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে মোড়েলঞ্জের লোকজন ঝাড়ু মিছিল ও তার বদলীর খবরে মিষ্টি বিতরণ করেছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ২০ আগস্ট চিতলমারীর সম্মিলিত ছাত্র জনতা ডা. মামুন হাসান নামের এক দূর্নীতিবাজকে তাড়িয়েছে। এখন পুনরায় আরেক দূর্নীতিবাজ এখানে যোগদান করুক তা আমরা চাই না।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শর্মী রায় বলেন, ‘১৩ নভেম্বর চিতলমারীতে বদলীর আদেশ পাই। শুনেছি চিতলমারীর মানুষ আন্দোলন করছে। তারা যদি আমাকে গ্রহণ করতে না চায় তাহলে আমি যাব না। সুযোগ পেলে চিতলমারীবাসির সেবা করব।’
চিতলমারী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সুমন তালুকদার বলেন, ‘ডা. শর্মী রায়ের চিতলমারীতে যোদানের খবর শুনে বিভিন্ন মানুষ মিটিং, মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১ টায় স্থানীয়রা তার যোগদান না করার জন্য স্থানীয়রা কমপ্লেক্স চত্ত্বরে এসে বিক্ষোভ ও দাবী জানিয়েছে। আমি বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি।’