
জন্মভূমি ডেস্ক : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং এই আইনের সঠিক ব্যবহার ও জনবান্ধব করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের আয়োজনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিতর্ক’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল একাত্তর টেলিভিশন ও বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সরকারের কাছে যে সুপারিশমালা পাঠিয়েছে, তাতে আইনটির দুটি ধারা (২১ ও ২৮) পুরোপুরি বাতিল এবং আটটি সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। আলোচনায় প্রসঙ্গটি নিয়ে কথা বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের টিমের সঙ্গে আমাদের দেশের একটি টিম (লেজিসলেটিভ সচিবকে প্রধান করে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে) করে দেওয়া হয়েছে। আলোচনা করে তারা একটি টেকনিক্যাল নোট পাঠিয়েছে।’
‘টেকনিক্যাল নোট’-এর তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তারা ২১ ধারা বাতিল করে দিতে বলছে, কিন্তু সেটি আমার পক্ষে সম্ভব না। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের বাস্তবতায় ২১ ধারা প্রয়োজন রয়েছে; যা আলোচনায় উঠে এসেছে। আলোচনায় ওই আইনের অধীনে বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের রক্ষাকবচের কথাও উঠে এসেছে, সেটি অবশ্যই আমরা হাইলাইট করবো।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাখ্যার কথা বলছেন, এই যে ধারাগুলো এবং কিছু টেকনিক্যাল ধারাগুলো; এগুলোর একটি সুবিধা আছে… পুলিশকেও আমি বলবো। সুবিধাটা হচ্ছে, এই যে ধর্মীয় অনুভূতি, স্বাধীনতা এগুলোর বিষয়ে অপরাধের বিষয়টি আগে দণ্ডবিধিতে ছিল; এমন বহু (আদালতের) রায় আছে। যেখান থেকে ব্যাখ্যাগুলো নেওয়া যায়। আমি মনে করি, প্রশিক্ষণে (আইন প্রয়োগের বিষয়ে) জোর দেওয়া উচিত। যেহেতু এগুলোর ব্যাখ্যা রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার (ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক) মামলাতে এ ধরনের ব্যাখ্যা আছে। এক্ষেত্রে যারা মামলা তদন্ত করেন এবং যারা মামলা করেন, আইনজীবীরাÍতারা এই ব্যাখ্যার বিষয়ে কাজ করতে পারবেন।’