
জি এম ফিরোজ, ডুমুরিয়া : আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘোরা ইউনিয়নের খরসঙ্গ কালার বটতলা সার্বজনীন মন্ডপে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ভক্ত ও দর্শনার্থীদের বিশেষ আকর্ষণ করতে দেবী দূর্গাসহ তৈরি করা হয়েছে হিন্দু পুরাণিকনকাহিনী সম্বলিত ২শ’ ১টি বিভিন্ন দেব দেবীর প্রতিমা।
জানা গেছে, উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের খরসঙ্গ কালার বটতলা মন্দিরে আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে উদযাপিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ৩ মাস আগে থেকেই শুরু করা হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। ৪ জন ভাস্কার নিপুণ হতে একটানা বিভিন্ন দেবদেবীর ২০১টি প্রতিমা তৈরির কাজ ইতোমধ্যে সমপন্ন করেছেন। বাকি আছে রং তুলির কাজ।
দেব দেবীর মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে হিন্দু ধর্মীয় ও পৌরানিক কল্প-কাহিনী। সনাতনী চার যুগ তথা সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলির ঘটনা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রতিমা। এর মধ্যে রয়েছে সত্যযুগে যমরাজের বিচার সভা, ত্রেতা যুগে রাম-সীতার বনবাস, দ্বাপর যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অর্ভিভাব এবং কলি যুগে শ্রী গৌরঙ্গ মহাপ্রভু ও হরিচাঁদ ঠাকুরের ইতিকথা। খড় মাটি কাদা দ্বারা তৈরি করা হয়েছে প্রতিমা গুলো। মাটির কাজ ইতোমধ্যে সমপন্ন করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে শুরু রং তুলির কাজ। এবিষয়ে প্রতিমা তৈরির প্রধান ভাস্কর অভিলাশ মন্ডল জানান,গত বছর এই মন্দিরে আমরা ১শ’ ৪৭টি প্রতিমা তৈরি করেছিলাম। এবার তা বাড়িয়ে ২০১টি তৈরী করা হয়েছে । ৩ মাস ধরে তিনিসহ আরও ৩ সহযোগী মিলে কাজ করছেন। এরই মধ্যে দো-মাটির কাজ শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে রং তুলির কাজ শুরু হবে।
পূজা উদযাপন কমিটির কোষাধ্যক্ষ সুব্রত সরকার জানান, বিগত বছর থেকে এখানে এই মহা উৎসব শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানের নেতৃত্বে আছি আমরা কয়েকজন ব্যবসায়ী। দূর্গাপূজা ও সনাতন ধর্মের কল্প- কাহিনীসহ পৌরানিক ঘটনাবলি তুলে ধরাই আমাদের মুল লক্ষ্য। আমাদের ভাস্কররা সেই আঙ্গিকে প্রতিমা তৈরী করছে। তবে এবার ব্যয়ের পরিমাণ অনেক বেশি হবে। শুধু প্রতিমা তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে চার লক্ষ টাকা। এছাড়া রংতুলি সাজ-সর্জ্জা,লাইটিংসহ সব মিলিয়ে ১৫ টাকা খরচ হতে পারে।
তিনি প্রত্যাশা করেন সুষ্ঠ সুন্দর উৎসব মুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে পারবেন।এলাকায় রয়েছে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অটুট বন্ধন। এই উৎসবকে ঘিরে এলাকায় মুসলিম ভাইয়েরা সব সময় পাশে থেকে নিচ্ছেন খোঁজ খবর। তারা সর্বত্ত্বক সহযোগিতা এবং উৎসাহ যোগাচ্ছেন। পূজা পরিচালনার লক্ষে গৌতম সরকারকে সভাপতি ও গোবিন্দ সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠন করা হয়েছে পূজা উদযাপন কমিটি।