ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় মাছ চোর সন্দেহে উৎপল মন্ডল (২৫) নামে এক যুবককে সালিশী বৈঠকে ডেকে নিয়ে বেপরোয়া মারপিট করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত যুবক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে উপজেলার ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নের বকু¬তলা কালি মন্দিরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলার জাবড়া এলাকার পরিতোষ মন্ডলের ছেলে আহত উৎপল মন্ডল অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকে বেদম প্রহরের বর্ণনা তুলে ধরে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, পেশায় তিনি একজন ইজিবাইক চালক। গত ২৬ নভেম্বর তালতলা এলাকার দীপক মন্ডলের মৎস্য ঘেরের কর্মচারী তার বন্ধু লিটু গাইনের মটরসাইকেল নিয়ে গল্লামারি যান তিনি। এ সময় একটি ব্যাগে থাকা ৫/৬টি গলদা চিংড়ি তার হাতে দিয়ে বিক্রি করে আনতে বলে। যথারীতি ওই মাছগুলো বিক্রির দুদিন পর চোর সন্দেহে ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে তাকে ডাকা হয় এবং চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে একটি রুমে দরজা বন্ধ করে বেপরোয়া মারপিট শেষে জানিয়ে দেয় ৩০ নভেম্বর বিকেলে বকুলতলা সালিশী বৈঠকে উপস্থিত থাকতে। হতদরিদ্র ওই যুবক যথাযথ সময়ে সালিশী বৈঠকে উপস্থিত হওয়া মাত্রই স্থানীয় বাপ্পা মন্ডল, তুফান গোলদার, কৃষ্ণপদ মহলদার, নিউটন বিশ্বাস সহ কয়েকজন তাকে আবারও লাঠিসোটা দিয়ে বেপরোয়া মারপিট করে। একপর্যায়ে উৎপল মন্ডল জ্ঞান হারিয়ে পড়লে তাকে একটি ভ্যান গাড়িতে করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয় এবং এক মাসের মধ্যে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে মর্মে সালিশী বোর্ড আদেশ দেন। এরপর পরিবারের লোকজন ওই রাতেই গুরুতর আহত উৎপল কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জরিমানার ১০ হাজার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে এলাকা ছাড়তে বলে তাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে এমনটি উল্লেখ করে আহত উৎপল বলেন, দ্রুত বিষয়টি নিয়ে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করা হবে।
ডুমুরিয়ায় চোর সন্দেহে যুবককে মারপিট
Leave a comment