ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মাগুরখালীর পূর্বপাতিবুনিয়া সীমানা খালে অবৈধ ক্রসবাঁধ অপসারণের ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই আবারও নেটপাটা স্থাপন করেছে অবৈধ সেই দখলদাররা। এতে একদিকে যেমন প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়েছে আমন চাষিরা। ফলে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।উপায়ান্তর না পেয়ে আবারো উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দ্বারস্থ হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী। প্রসঙ্গত, উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রবাহমান পূর্বপাতিবুনিয়া সীমানার খাল দিয়ে দুটি বিলের পানি নিষ্কাশন হয়ে সরাসরি শিবপুর স্লূইচ গেট দিয়ে ভদ্রানদীতে পড়ে।খালটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী বিপুল রায়, মানিক বালা ও জামিনী রঞ্জন বালা ওই খালটির একাধিক স্থানে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। এতে বর্ষা মৌসুমে পূর্ব পাতিবুনিয়া সহ দুটি বিলের পানি নিষ্কাশনে বাঁধার সৃষ্টি হয়। ফলে জলাবদ্ধতার আশংকায় এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর করে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ইউএনও মুহাম্মদ আল আমিন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে বলেন। তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় সহকারী কমিশনার ভূমির নির্দেশে শরাফপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা শেখ শাখাওয়াত হোসেন কে অবৈধ ক্রসবাঁধ অপসারণের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মোতাবেক গত ১১ জুলাই সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা, ইউপি সদস্য গোপাল চন্দ্র হালদার ও জনগণকে সাথে নিয়ে আলোচিত ওই খালের অবৈধ আড়াআড়ি ৪টি ক্রসবাঁধ অপসারণ করে উন্মুক্ত করা হয়। এতে এলাকার কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু দূঃখজনক হলেও সত্য এলাকার শত শত আমন চাষীদের স্বার্থের দিকে না তাকিয়ে ব্যক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে চব্বিশ ঘন্টা যেতে না যেতেই আবারও কর্তনকৃত ওই খালে নেটপাটা স্থাপন করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে ওই দখলদাররা। এতে স্থানীয়দের মাঝে নানা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক অমর কৃষ্ণ সানা,মলয় কান্তি রায়, সুব্রত সানা, বিশ্বজিৎ সানা সহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী বিপুল রায়, মানিক বালা ও জামিনী রঞ্জন বালা সহ কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ ভাবে এ খালে ক্রসবাঁধ দিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে মাছ চাষ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার শত শত কৃষক। আমরা ইচ্ছা করলে আইন হাতে তুলে নিতে পারতাম কিন্তু সেটা না করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আবারো উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দ্বারস্থ হয়েছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল আমিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
ডুমুরিয়ায় প্রবাহমান খালে অবৈধ নেটপাটা স্থাপন: ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী
Leave a comment