
এম সাইফুল ইসলাম
খুলনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেদখল জমি নিজেদের দখলে নিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। রবিবার ডুমুরিয়ার বুলু মার্কেট ও আশপাশ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ডুমুরিয়র এসিল্যান্ড এবং পাউবোর কর্মকর্তরা।
খুলনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ডুমুরিয়ার সালতা নদী সংলগ্ন সাড়ে ৬ একর জমি বিভিন্ন অবৈধ দখলদাররা প্রায় দুই যুগ ধরে নিজেদের দখলে রেখে বহুতল বিশিষ্ট স্থাপনা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে।
পাউবোর বেদখলে থাকা সাড়ে ৬ একর জমির বর্তমান বাজার মুল্য ৩শ’ কোটি টাকা। যার বেশির ভাগ জমি দখল করে রেখেছিল ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যন গাজী হুমায়ন কবির বুলু। চেয়ারম্যান বুলু পাউরোর জমি নিজ দখলে রেখে সেখানে মাছের আড়ৎ এবং কাঁচা বাজার বসিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম অভিযোগ করেছেন। রবিবার বেলা ১১ টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসডি) মিজানুর রহমান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসনাতুজ্জামানের নের্তেৃত্বে পাউবোর কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর ডুমুরিয়া উপজেলার এসিল্যান্ড মোঃ মামুনুর রশিদ ডুমুরিয়ার থানা পুলিশের সহযোগিতায় তৃতীবারের মতো বুলু মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সেখানে পাকা ঘর দ্বারা নির্মিত মাছের আড়ৎ এবং কাঁচা বাজার বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলার কার্যক্রম শুরু হয়। উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসনাতুজ্জামান জানান, চলতি বছরের ১ ও ২ জানুয়ারী বুলুর দখলে থাকা জমির উপর মার্কেট ভেঙ্গে উচ্ছেদ করা হয়। বাকি স্থাপনা গুলো ভেঙ্গে সরিয়ে নিতে বলা হয়, কিন্তু তারা স্থাপনা রেখে সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করা অব্যাহত রাখে। এ বিষয়ে গত ২ এপ্রিল খুলনা পাউবোর কর্মকর্তরা বুলু মার্কেটে সীমানা পিলার স্থপান করতে গেলে সেখানে চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ন কবির বুল লোকজন নিয়ে এসে সরকারি কাজে বাঁধা প্রধান করেন। এ সময় তাদের দুই শ্রমিক রবিউল ইসলাম ও আছির উদ্দিনকে মারধোর করে আহত করে। বুলুর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের হাতে পাউবোর দুই কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এবং হাসনাতুজ্জামান লাঞ্চিত হয়। এ ঘটনায় গত ৩ এপ্রিল পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসনাতুজ্জামান ডুমুরিয়া থানায় চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ন কবির বুলকে প্রধান আসামী করে ৮ জনের নামে একটি মামলা করেন।